চট্টগ্রাম

বিজয়নগরে সোনালি আঁশ পাট চাষে ৩৫০ পরিবার স্বাবলম্বী

  প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২১ , ৬:১১:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

আলমগীর হোসেন, বিজয়নগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।:

এবার বিজয়নগর উপজেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে সোনালী আঁশ পাটের। উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বিজয়নগর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। পাশাপাশি অনুকূল আবহাওয়া থাকায় পাটের ফলনও ভালো হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে পাট চাষে তুলনামূলক ভাবে লাভবান হওয়ায় পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা।এবছরও ভালো দাম পাওয়ার প্রত্যাশা করছে কৃষকরা।

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলায় মোট ৪১ হেক্টর জমিতে এবছর দুই জাতের পাট চাষ করেছে কৃষকরা, যার মধ্যে কেনআপ জাতের ৩০ হেক্টর ও তুষা জাতের ১১ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়,যার দ্বারা উপজেলার প্রায় ৩৫০ কৃষক পরিবার ৩২৮০ মন পাট চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার পান্তিক চাষী রঞ্জিত দাস জানান, ন্যায্য দামে পাট বিক্রি করে সংসারের চাকা সচল রাখার পাশাপাশি ছেলেমেয়ের পড়ালেখার খরচ যোগাবেন তিনি। এ বছর তিনি তিন বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছেন ।

উপজেলার পাট চাষিরা জানান, এক বিঘা জমি চাষ, বীজ, সার, কীটনাশক ক্রয়, পরিচর্যা, পঁচানি দিতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা নেয়ার পরিবহন খরচ থেকে শুরু করে পাট ছাড়ানো ও রোদে শুকিয়ে ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা ব্যয় হবে।

উপজেলার আড়িয়াল গ্রামের রহমত আলী ও সাতগাঁও গ্রামের ডাগুর বাড়ির ইদ্রিস আলী ও শাহপরান নামে ব্যক্তি জানান, এ বছর পাটের ফলন খুব ভালো হয়েছে, তবে দাম ভালো পেলে তাদের জন্য খুবই ভালো হবে ।

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাব্বির আহাম্মদে জানান, এ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া পাট চাষের উপযোগী। পাট পচনের (জাগ) ক্ষেত্রেও রয়েছে অনেক ডোবা, নালা, খাল, বিল ও জলাশয়। এ বছর আগাম বৃষ্টি হওয়ায় পাট পচনের ক্ষেত্রে পানির কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। এছাড়া ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি কৃষকেরা দামও ভালো পাবেন বলে আশা করছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by