চট্টগ্রাম

বিলুপ্তির পথে নবীনগরে পানের চাষ

  প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২১ , ৮:০৩:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. দেলোয়ার হোসেন, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া):

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বিলুপ্তির পথে পানের বরজ ও পান চাষ। রসনা বিলাস এর অন্যতম একটি উপকরণ হচ্ছে পান। পান বাংলাদেশের একটি অন্যতম অর্থকারী ফসলও বটে। বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় উৎসবসহ বিয়ে-শাদিতে পান-সুপারির কদর আধিকাল থেকে। এই উপজেলায় পান চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও কৃষি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানা কারণে দিন দিন কমে যাচ্ছে পান চাষের পরিমাণ।

একদিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি অপর দিকে প্রকৃতিক দুযোর্গ ক্ষতিগ্রন্ত চাষীদেরকে সরকারি প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় সুস্বাদু বাংলা পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষীরা। উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার বহুকাল ধরে পান চাষে জড়িত রয়েছে।

এ পান স্থানীয়দের কাছে খুবই প্রিয়। এর চাহিদাও প্রচুর। এ অঞ্চলে পানের পরিকল্পিত চাষাবাদ ঘুরিয়ে দিতে পারে স্থানীয় বারই স¤প্রদায়ের ভাগ্যের চাকা। জাতীয় অথর্নীতিতেও রাখতে পারে ভূমিকা। এক সময় শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীঘর, শাহবাজপুর এবং শ্যামগ্রামে পানের বরজ থাকলেও এখন তা অনেকটা কমে এসেছে। পূর্ব পুরুষের পেশা হিসেবে এখনো যারা পানের বরজ নিয়ে আছেন তাদের মধ্যে একজন হবেন মনোরঞ্জন দত্ত। জানান, পান চাষের জন্য সরকারি কোনো সাহায্য সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। ঝড়-জলোচ্ছ¡াসে যে কোনো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার তাদের সহায়তা করে কিন্তু পানের বরজ ক্ষতিগ্রন্ত হলে চাষীদের পাশে কেউ দাঁড়ায় না।

পান চাষীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, পানের বরজ তৈরি করে পানের লতা লাগিয়ে ভাল ফলন পেলেও সার কীটনাশক ব্যবহারে পানের রোগ ঠেকাতে পারছেন না তারা। রোগবালাই কিংবা সমস্যা দেখা দিলে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা কিংবা ঔষধ বিক্রেতাদের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

তখন কৃষি বিভাগ থেকে কোন পরামর্শ পায়না চাষীরা। তাই পানের বরজ বাদ দিয়ে অন্য ফসল ফলানোর দিকে ঝুঁকে পড়ছে পান চাষীরা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার জানান, পান চাষের উপর কৃষি বিভাগের কোনো কার্যক্রম নেই। তবে চাষীদেরকে বিভিন্ন সময় পরামশর্ দিয়ে সহায়তা করা হয় বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের এই কমর্কর্তা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by