ঢাকা

বিশ্বজিৎ হত্যায় যাবজ্জীবনের আসামি মোশাররফ গ্রেপ্তার

  প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০২২ , ৫:৪৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ভৈরব থানা পুলিশ র‌্যাবের সহযোগিতায় রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের মাহতাব মিয়ার ছেলে মোশারফ এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেড নামে ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্রমত ছিলেন।

তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। এর আগে ১৭ জুলাই এ মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কামরুল হাসানকে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এর আগে ১৫ জুলাই ভোরে বগুড়ার মোকামতলা বন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মোহাম্মদ আলাউদ্দিন নামের আরেক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির অবরোধ চলাকালে দর্জি বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ পার্কের (ভিক্টোরিয়া পার্ক) সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শাঁখারীবাজারে দর্জির দোকান ছিল বিশ্বজিতের। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর। রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে থাকতেন তিনি।

আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বরে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তখন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। নিম্ন আদালতের রায়ে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার ও মীর মো. নূরে আলম লিমন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এ এইচ এম কিবরিয়া, খন্দকার ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অন্য দুজনকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে দুজন আপিল করে খালাস পান। হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা সবাই পলাতক। তাদের মধ্য ভৈরবের মোশারফ হোসেন দীর্ঘ ১০ বছর পলাতক ছিলেন।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার এসআই সাইদুর ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন পলাতক আসামি মোশারফ হোসেন দীর্ঘ দশ বছর পলাতক ছিলেন। তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্রমত ছিলেন। রবিবার রাতে ভৈরব থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঢাকার বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by