বাংলাদেশ

বেসরকারি স্কুলে সব স্তরে ভর্তিতে লটারি, থাকছেন না অভিভাবকরা

  প্রতিনিধি ২৪ নভেম্বর ২০২০ , ১:২৮:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নতুন শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে শূন্য আসনের বিপরীতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই এবং ভর্তি করতে নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে এ নীতিমালা জারি করা হতে পারে।

তবে এ আয়োজনে অভিভাবকদের উপস্থিত থাকতে দেয়া হবে না। একটি ভর্তি কমিটি গঠন করে লটারির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রথম শ্রেণির ভর্তিতে লটারি এবং দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হলেও করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে নতুন শিক্ষাবর্ষে (২০২১ সালে) ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে লটারির মাধ্যমে সব ক্লাসে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ফরম বিক্রি করা হবে। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে লটারির জন্য নির্বাচন করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। একাধিক ধাপে লটারির আয়োজন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। লটারির ফলাফল স্ব স্ব বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

এ কার্যক্রমে যেন জনসমাগম না হয়, সেজন্য ভর্তি প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রমে অভিভাবকদের প্রবেশের সুযোগ থাকবে না। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও কয়েকজন অভিভাবক নিয়ে একটি ভর্তি কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

সূত্রে জানা গেছে, সন্তানের ভর্তি লটারিতে অভিভাবকদের উপস্থিত হওয়ার সুযোগ না পেলেও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ভর্তির জন্য আবেদনকারী অভিভাবকদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে পাঁচ থেকে সাতজনকে নির্বাচন করা হবে। তাদের অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে ভর্তি কমিটিতে যুক্ত করা হতে পারে। এছাড়া ভর্তি নীতিমালায় নতুন কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মমিনুল রশিদ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর)  বলেন, বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে সকল স্তরে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। করোনার ঝুঁকি থেকে সর্তকতা অবলম্বন করতে এ পদ্ধতিকে বেছে নেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ভর্তি নীতিমালা জারি করা হতে পারে।

তিনি বলেন, ঝুঁকি এড়াতে এবার ভর্তি কার্যক্রমে অভিভাবকদের উপস্থিত থাকতে নিষেধ করা হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কয়েকজনকে নির্বাচন করে অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করা হতে পারে। ভর্তি নীতিমালায় এসব বিষয় যুক্ত করা হবে। আর কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।

বর্তমানে দেশে ৬৮৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতে আছে ৪২টি। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১৯ হাজার ৪২১টি। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৭৭৫টি এমপিওভুক্ত, বাকি দুই হাজার ৬৪৬টি নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by