রাজশাহী

বেড়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই হাটে চলছে পশু বেচাকেনা

  প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০২০ , ৪:০৪:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

বসন্ত দাস, বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝঁুকির মধ্যেই উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ বেড়া’র পশুর হাটে চলছে পশু বেচাকেনা। এ হাটে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝঁুকি এড়িয়ে চলতে স্বাস্থ্যবিধি সতর্কতা ও সামাজিক দূরত্ব কোনটাই মানা হচ্ছে না। আসন্ন কোরবাণী ঈদ উপলক্ষে বেড়া সহ পার্শ্ববর্তী সঁাথিয়া, সুজানগর, ফরিদপুর ও শাহ্জাদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার গরু, মহিষ, উট এবং ছাগল বিক্রির জন্য এই হাটে নিয়ে আসা হয়। সপ্তাহের মঙ্গলবার বেড়ায় পশুর হাট বসলেও কোরবাণী ঈদ উপলক্ষে শনিবারেও পশুর হাট লাগে। বৃহৎ এ হাটে গবাদি পশু ক্রয়ের জন্য রাজধানী ঢাকা সহ চট্টগ্রাম, নারায়ণঞ্জ থেকে গরুর ব্যাপারী আসে। বাইরের ব্যাপারী ছাড়াও এলাকার অনেক ব্যাপারী এই হাট থেকে গরু ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় বিক্রির জন্য। গরু হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় কোরবাণী ঈদ উপলক্ষে প্রতি হাটে এক থেকে দেড় লাখ গরু, মহিষ, উট ও ছাগল আমদানি হয়। বিক্রি হয় প্রতি হাটে ২৫ থেকে ৩০ হাজার পশু।
সরেজমিনে বৃহৎ এ পশু হাটে গিয়ে দেখা যায়, পশু ক্রেতা, বিক্রেতা ও ফড়িয়ারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝঁুকি মানছে না। বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে মুখে মাস্ক নেই। এই পশু হাটে লোক সমাগম খুব বেশী হলেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ঢাকার গাবতলী থেকে আগত জনৈক গরুর ব্যাপারী মো. আনছার আলীর সঙ্গে কথা তিনি জানান, গরু কিনতে এসে এসব নিয়ম কানুন মানা যায় না। একথা বলেই তিনি হাটের পাশেই খোলা জায়গায় অস্থায়ী একটি হোটেলে ঢুকে পরে খাওয়ার জন্য। এদিকে বেড়া পৌর এলাকার বৃশালিখা গ্রামের গরুর খামারী জনৈক আব্দুল মোমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবারে গরুর দাম খুব কম। তিন মাস আগে যে গরুর দাম ছিল দেড় লাখ টাকা, বর্তমানে সেই গরুর দাম বলে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। পশুর এই দর পতনে খামারী আব্দুল মোমিন খুব দুশ্চিনাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তার কথায় এবারে হয়তো মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হবে। শাহ্জাদপুর উপজেলার করশালিকা গ্রামের মো. সুরুজ আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তিন হাট ধরে ঘুরছি কিন্তু গরুর উপযুক্ত দাম না হওয়ায় ফেরত নিয়ে যাচ্ছি। যদিও দু’একজন ব্যাপারী যে দাম হাকিয়েছে তাতে গরু কেনা এবং এক বছর ধরে লালন পালনের খরচের দাম উঠে না। যে দাম বলে তাতে করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকসান হয়। এছাড়া অনেক খামারী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এমতাবস্থায় যদি ভারতীয় গরু, মহিষ আমদানী হয় তাহলে সেটা হবে মরার ওপর খারারর ঘা।

Powered by