চট্টগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে সুদখোরের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে একটি পরিবার 

  প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২৩ , ১২:৩১:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

খায়রুল কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুর গৌতমপাড়া এলাকার সুদখোরের ভয়ে
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গোপাল রায়ের ছেলে অভিমুন্য রায়।  এই বিষয়ে গত (২১এপ্রিল) সদর থানায় সাজেদা বেগম, রূপবান বেগম ও দানা হাজারীর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী অভিমুন্য রায়। ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিমূন্য রায় আশুগঞ্জ উপজেলায় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে।  অভিমুন্য রায়ের বাবা গোপাল রায় সুদখোরের মামলায় জেল হাজতে আছে। আমার মা কয়েক বছর আগে তাদের ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেন সুহিলপুরের  সবাই বিষয়টি  অবগত আছেন।   একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার মেয়ে সাজেদা বেগম ও বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রূপবান বেগমের কাছ থেকে একলক্ষ টাকা এবং সহিদ হাজারির ছেলে দানা হাজারীর কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা  স্টাম্পের  মাধ্যমে কর্জ নেয় অভিমুন্য রায়। ওই টাকা সুদে আসলে নিয়মিত দিয়ে আসছেন। কিন্তু সুদখোর আসামিগন অন্যায় ভাবে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। অভিমুন্য রায়  বলেন বাচ্চু মিয়ার মেয়ে সাজেদা বেগম ও বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রূপবান বেগমের কাছ থেকে একলক্ষ টাকা সে নেয়  এর থেকে ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন অভিমুন্য।  আর সহিদ হাজারির ছেলে দানা হাজারীর কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করে সে। বাকি টাকা যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করে দিবো বলার তারা আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহাল করছে। এছাড়া আসামিগন আমাকে স্বপরিবারে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।আমি থানায় অভিযোগ করার পর বিগত ৩০  / ০৪ / ২০২৩ ইং শুক্রবার রাতে আনুমানিক ৩.৩০ মিনিটে সময  আসামিরা আমাকে সহ স্বপরিবারকে  মারার জন্য পেট্রোল দিয়ে আমার বসত ঘরে  আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা  আতংকের মধ্যে আছি। আমি বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছি।   আমি প্রশাসনের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।অভিযোগটি দানা মিয়া অস্বীকার করে বলেন তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি।  তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by