দেশজুড়ে

মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রত্যয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে রেডক্রস- চসিক মেয়র

  প্রতিনিধি ৮ মে ২০২০ , ৮:০৯:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম ব্যাুরো : ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস’ পালিত বিশ্বের অনান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট’ দিবস। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার সীমিত আকারে এই দিবসটি পালন করলো বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্রগ্রাম ইউনিট। এই উপলক্ষ্যে সংগঠনটি আজ ফুড প্যাকেজ(ভোগ্যপন্য সামগ্রী ও রান্না করা খাবার) বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে।

যা জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে কর্মরতদের মাঝে সাধারণ জনসাধারণ ও পথচারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। আজ বিকেলে আন্দরকিল্লাস্থ জেমিসন রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল প্রাঙ্গনে সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য চট্টগ্রাম কেন্দ্র রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শেখ সফিউল আলম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী নুরুল আলম চৌধুরী বাহার, চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্য এইচ এম সালাউদ্দিন, সাফকাত জাহান, মহসিন উদ্দিন চৌধুরী ফয়সাল, আনোয়ার আলম, ইসমাইল হক চৌধুরী, রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ইউনিট লেভেল অফিসার আবদুর রশিদ খান, ইয়াহিয়া বখতিয়ার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রত্যয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে রেডক্রস। একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার জন্য রেড ক্রিসেন্ট আর্তমানবতার সেবায় অবদান রাখছে। পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন দুর্যোগে পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এই সংগঠনটি। দেশের সব প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্নীঝড়,বন্যা,ভুমিকম্প,ভূমিধ্বস,অগ্নিকান্ডসহ নানা সময়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। বিশ্বে চলমান মহামারিতেও তারা প্রান বাজি রেখে অবদান রেখে চলেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্তে সংস্থাটির অবদান উল্লেখ করার মতো।

তিনি বলেন, মানবতার কল্যাণ সাধনে রেডক্রিসেন্টকে অনুসরণ করে আমাদের নতুন প্রজন্মকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। মেয়র আরো বলেন, একন সময় এসেছে মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি জীবিকা রক্ষা এবং সর্তকতা অবলম্বন করেই করোনা মহামারি মোকাবেলার। করোনা ভাইরাস কোভিড -১৯ সংক্রামণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় সীমত পরিসরে দোকানপাট ও ব্যবসা বাণিজ্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকবেই। এই মহূর্তে এমন সিদ্ধান্ত ঠিক হলো কিনা এ ধরনে প্রশ্নে অবতারনাও স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের ধনী দেশগুলোর মতো নয়।

এ দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবন ধারন নির্ভর করে দৈনিক আয় রোজগারের উপর। ইতিমধ্যে এক মাসের ও বেশী সময় ধরে তাদের আয় বন্ধ। দীর্ঘসময় ধরে শুধুমাত্র ত্রাণ সহায়তা নিয়ে জীবনধারন সম্ভব নয় । এই বিবেচনায় লক-ডাউন শিথিল করা হয়েছে। এই শিথিলতার মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে যেন বার্তা না যায় যে বিপদ কেটে গেছে, বরং আরো জোরালো ভাবে বার্তা পৌঁছাতে হবে আমাদের সামনে আরো অনেকটা পথ বাকি আছে। স্বাভাবিক কাজকর্ম চলাকালে মানুষে মানুষে সংস্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রামণের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমাদের আরো সচেতন করতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by