প্রতিনিধি ৪ এপ্রিল ২০২১ , ৭:১০:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
সংসদে প্রায় ৪০ মিনিট বক্তব্যের একটি বড় অংশ জুড়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে যে ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে তার সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরা ধর্মের নামে এত কথা বলে, পবিত্রতার নামে এত কথা বলে, এখন অপবিত্র কাজ করে সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টে ধরা পড়েছে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। এখন সেটা ঢাকার জন্য নানা রকম চেষ্টা করছে তারা।’
মামুনুল যে নারীকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি পার্লারের কর্মী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে বউ হিসেবে পরিচয় দেয়, আবার নিজের বউয়ের কাছে বলে যে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এটি বলে ফেলেছি।’ তিনি বলেন, ‘যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, এরকম মিথ্যা কথা, অসত্য কথা কি তারা বলতে পারে? তারা তো বলতে পারে না। তাইলে এরা কী ধর্ম পালন করে আর মানুষকে কী ধর্ম শেখাবে?’
প্রধানমন্ত্রী হেফাজতের কর্মীদের এই তাণ্ডবের বিষয়ে বলেন, ‘হেফাজতের যারা সদস্য তাদেরকেও আমি অনুরোধ করি, যে তারাও একটু বুঝুক যে কোনো নেতৃত্ব তাদের! এই যে আগুন জ্বালাও-পোড়াও করে তিনি বিনোদন করতে গেলেন একটি রিসোর্টে আরেকজন সুন্দরী মহিলা নিয়ে। এই তো বাস্তবতা। অর্থাৎ এরা ইসলাম ধর্মের নামে কলঙ্ক। এবং ইসলাম ধর্মকে তারা ছোট করে দিচ্ছে।’ সন্ত্রাস করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। বিশ্বের সবচেয়ে ধৈর্য ও সহনশীলতার ধর্ম। এরা ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করে বলে আজ ইসলাম হুমকির মধ্যে। এরা আসলে ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের ছাড় দেয়া হবে না। যারাই ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,
‘এটাও সত্য, সবাই কিন্তু খারাপ নয়’- এমন কথাও বলেন শেখ হাসিনা। তবে, মামুনুল হক পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী না জেনে অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন।’ আর হেফাজতে ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, তারা ‘বিব্রত ও হতভম্ব’।