মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও চেতনা বিকাশে অবদান রাখা ব্যক্তি, সংগঠন ও সংস্থাকে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেবে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার এই পদক চালুর নীতিমালা জারি করেছে।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে ভূমিকা, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন, স্বাধীনতার পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, মুক্তিযুদ্ধ/স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা; মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র, নাটক নির্মাণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড; মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ-এই সাত ক্যাটাগরিতে এই পদক দেওয়া হবে।
প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ পদক দেওয়া হবে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পদক হয়েছে দেওয়া হবে ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে বানানো পদক এবং দুই লাখ টাকা।
ব্যক্তি পর্যায়ে পদকের জন্য মনোনীতদের অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশি নাগরিকরাও এই পদক পাবেন। পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকার স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধ পরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন হতে হবে। এসব সংগঠনকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সরকারি দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সরাসরি অবদান রাখা মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনস্থ দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করা হবে।
রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, ফৌজদারি আইনে সাজা পাওয়া ব্যক্তি বা দেউলিয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেওয়া হবে না। একবার পদক পাওয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পরবর্তী ১০ বছর একই বিষয়ে ফের পদক দেওয়ার জন্য বিবেচিত করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই পদক পাবে না।