বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কর্মরত দলিল লেখক মোঃ সুমন হোসেন ও মোরেলগঞ্জ সাব- রেজিস্ট্রার তন্ময় কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কিসমত বৌলপুর গ্রামের মৃত রবীননাথ মজুমদারের ছেলে পুরোহিত উজ্জ্বল কুমার মজুমদার। ২মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুরোহিত উজ্জ্বল কুমার লিখিত বক্তব্যে জানান, তিনি গত বছর ২২ ডিসেম্বরে ২৫ শতাংশ জমি কবলা রেজিস্ট্রি করার উদ্দেশ্য উক্ত দলিল লেখক সুমনের সঙ্গে সাব- রেজিস্ট্রাররের কার্যালয়ে আসলে অফিসার তন্ময় কুমার মন্ডল কাগজে ভুল আছে যা সংশোধন করা প্রয়োজন নাম পত্তন করা হয়নি বলে ফিরিয়ে দেন। কিছুদিন পরে উক্ত সুমন মোবাইল ফোন যোগে উক্ত জমি ১ লাখ টাকা খরচ দিলে রেজিস্ট্রী করে দেয়া যাবে বলে জানায়। পরবর্তীতে তার কথামতো আজ মঙ্গলবার (২মে) সুমনকে দাতা ও পরিচিত ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে নিরুপায় হয়ে নগদ ৮০ হাজার টাকা দিলে ২৫ শতাংশ জমি যার দাতা কমলেশ চক্রবর্তী এবং মায়া চক্রবর্তী মূল্য ৪ লাখ টাকা রেজিস্ট্রি হয়। যার দলিল নং ২০৩৫ তারিখঃ ২/৫/২০২৩।
বাকি ২০ হাজার টাকার জন্য ওই দলিলের টিকিট আটকে রাখে দলিল লেখক সুমন।
পরবর্তীতে তার পরিচিত স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে জানালে তার হস্তক্ষেপে উক্ত টিকিট ফেরত দেয় সুমন।
পরে সঙ্গে থাকা লোকজন নিয়ে দুপুরের খাবার খেতে বারইখালী মিলন হোটেলে আসিলে সেখানে দলিল লেখক সুমন এসে বাকি বিশ হাজার টাকার জন্য উজ্জ্বল কুমারকে চাপ দেয। সে তখন বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করলে সকলের উপস্থিতিতে তাকে গায়ে হাত তুলে তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে উজ্জ্বল কুমার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজামকে অবহিত করে।
এ ব্যাপারে দলিল লেখক সুমনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি মারধরের কথা অস্বীকার করেন এবং ৪০ হাজার টাকার কথা স্বীকার করেন।
বিষয়টি সাব রেজিস্টার তন্মান কুমার মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি তিনি নামজারি ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ ফেরত দেওয়ার দলিল কি ভাবে রেজিস্ট্রি করে দিলেন তার কোন সদ উত্তর দিতে পারেননি। তবে বলেন আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে দলিল লেখক সুমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান বলেন, বিষয়টি খুব দুঃখজনক লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান বলেন, আমাকে কেহ কিছু জানায়নি তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।