সিলেট

মৌলভীবাজারে চাঞ্চল্যকর ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইস প্রতারণার মামলাটি নিয়ে তোলপাড়

  প্রতিনিধি ২৬ মে ২০২১ , ৮:২৯:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারে চাঞ্চল্যকর ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর মাধ্যমে ছদ্মবেশ ধারণ করে বিকাশের এর মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগের মামলাটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত বুলবুল ও মাসুমের পরিবার দাবি করছে, বিকাশ এজেন্ট ফজলুল হক ও অভিযোগকারী শাহ ইব্রাহিম আলীর কোনো কারসাজি থাকতে পারে। মাছুম বয়সে কিশোর ও বুলবুল একজন হার্টের রোগী, তারা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে না। পুলিশ বলছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা ঘটানো হয়েছে, যার কারণে মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ধারায় নেওয়া হয়েছে । মামলাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অভিযোগে জানা যায়, শাহ ইব্রাহিম আলীকে গত ১১মে রাত সোয়া নয়টায় অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি শাহ তছলিম নামক ইমু নাম্বার থেকে শাহ পারভেজ এর ইমুতে তার বোন শাহী শায়েদার কন্ঠ নকল করে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে টাকা চায়। তখন চারটি বিকাশ নাম্বার থেকে দুটি বিকাশ নাম্বারে ক্রমান্বয়ে ৯০ হাজার টাকা অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির বিকাশ নাম্বারে প্রেরণ করেন।

টাকা পাঠানোর পর তার বোন শাহী শায়েদাকে টাকা পেয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তার বোন জানান তিনি কোনো টাকা চান নাই এবং তিনি কোনো টাকাও পান নাই। পরবর্তীতে তিনি ১২ মে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি জিডি করেন, জিডি নং-৬২৩। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ মৌলভীবাজার আনোয়ার ম্যানশনের বিকাশ এজেন্ট ফজলুল হককে আটক করেন। তার স্বীকারোক্তিতে কামারচাক ইউনিয়নের খাসপ্রেমনগরের কিশোর মাসুম মিয়া ও বুলবুল মিয়া কে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশ ২২টি মোবাইল জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত দুইজনের পরিবারের দাবি ১৫ বছরের কিশোর মাসুম ও একজন হার্টের রোগী বুলবুল মিয়া এই প্রতারণার সাথে কোনো ভাবে জড়িত নয়।

অভিযোগকারী ব্যাক্তি ৪টি বিকাশ এজেন্ট নাম্বার থেকে ২টি বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠায় কিন্ত তার যে বোন সাহায্য চেয়েছিল তাকে একবারও ফোন করে টাকা পেয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়নি? এছাড়াও মোবাইল ফোন দ্বারা কন্ঠ নকল করলেও তার বোনের কন্ঠের সাথে হুবহু মিলবে না। তার বোনের কন্ঠ তার নিশ্চয় চেনা। বিষয়টি সম্পূর্ণ রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন বুলবুল মিয়ার বোন শেফালী বেগম। শত্রুতামূলক ভাবে তাদেরকে জড়ানো হচ্ছে। পুলিশ বাড়ী থেকে যে ২২টি মোবাইল জব্দ করেছে সেগুলো বাড়ীতে আসা আত্মীয়-স্বজন, বাড়ীতে কাজ করতে থাকা রাজ-মিস্তিদের ৪টি, শিশুদের ভিডিও গেম খেলার কয়েকটি মোবাইল ছিল। এছাড়াও পুরাতন নষ্ট প্রায় ১০টি মোবাইল এর মধ্যে রয়েছে। বুলবুলের বৃদ্ধ মা নূরজাহান বিবি (৬৫) বলেন তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা, ঘর-বাড়ির অবস্থা দেখেই বুঝা যায় বুলবুল ও মাছুম প্রতারক চক্রের সদস্য কি না? এ ব্যাপারে ৭নং কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম বলেন, বুলবুল মিয়া ও মাছুমের বিরুদ্ধে আমার কাছে প্রতারণার কোনো অভিযোগ কেউ কোনো দিন নিয়ে আসেনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার বলেন, মামলাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তিন জনকে গ্রেফতার করেছি। অনেকেই আমাদের সন্দেহের তালিকায় আছেন। তদন্ত করে আমরা প্রকৃত অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করবো।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by