প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২১ , ৮:৪২:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নওয়াপাড়া(যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের অভয়নগরে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানার ৬৪টি চুল্লি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ধূলগ্রাম ও সোনাতলা অঞ্চলের কারখানাগুলিতে খুলনার বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও উপপরিচালক মাশরূবা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অবৈধভাবে তৈরি কাঠকয়লার চুল্লি ভেঙ্গে ফেলায় স্থানীয় জনগণের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের অগোচরে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিল স্থানীয় প্রভাশালী মহল।
ইতোমধ্যে কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের মাধ্যমে ভেঙ্গেও দেওয়া হয় চুল্লিগুলো। কিন্তু পরবর্তীতে এটি আবার চালু হয়। ভূক্তভোগিরা জানান,এই চুল্লির কারণে ঘন বসতিপূর্ণ এ অঞ্চলের সবুজ গাছের পালাগুলো ধূসরে পরিণত হতে শুরু করেছে। বিস্তীর্ণ সবুজ ক্ষেতের পাতা পুড়ে গেছে। গাছের ডাল পাতা পুড়ে গেছে ধোয়ার বিষাক্ত বাতাসে। মারা যাচ্ছে নদীর পাড়ের বিভিন্ন গাছ। যার ফলে একদিকে বন উজাড় হচ্ছে অপরদিকে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। স্থানীয় শত শত ব্যক্তি শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত হয়েছে।
বৃদ্ধ, শিশু ও পরিবেশ সবই ভয়াবহ সংকটের মুখে। অবশেষে সংবাদপত্রে ঘটনা প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সোমবার সকালে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশের সহযোগিতায় চৌষট্টি(৬৪) চুল্লি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তরে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট। এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মো. শরিফুল ইসলাম,অভয়নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন, নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা খান এহসান উল আলম এবং আমতলা ও সোনাতলা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যবৃন্দ প্রমুখ। বলেন, কয়লা তৈরির এই চুল্লি থেকে বিষাক্ত ধোয়ার কারণে আমরা বাড়িতে থাকতে পারিনে। তবে এই চুল্লি ভেঙ্গে ফেলায় আমরা খুশি হয়েছি।
৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি নাজিম মোল্লা জানান,এই অবৈধ কয়লা তৈরির চুল্লি ভেঙ্গে ফেলায় জনমনে স্বস্তি ফিওে এসেছে। কিন্তু প্রশাসনের সব সময় নজরদারিতে রাখতে হবে । আবার যেন নতুন করে এই অপকর্ম শুরু না করে। এবিষয়ে খুলনা বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও উপপরিচালক মাশরূবা ফেরদৌস বলেন, প্রশাসনের অগোচরে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির এই চুল্লি থেকে ধোঁয়া পরিবেশের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ফলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে এই চুল্লি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।এখন থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।