আবহাওয়া

যেসব জায়গায় তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’

  প্রতিনিধি ৬ মে ২০২৩ , ৬:০৮:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

বঙ্গোপসাগরে ‘মোচা’ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এটি বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের কিছু জায়গায় আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু নাকি অন্ধ্রপ্রদেশ- কোন রাজ্যে ‘মোচা’ আঘাত হানবে তা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর আজ শনিবার একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হবে। তার প্রভাবে ওই একই অঞ্চলে আগামীকাল রোববার একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। পরের দিন সোমবার এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।

সেই গভীর নিম্নচাপটি এরপর শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং সেটি উত্তর দিক বরাবর অগ্রসর হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে যাবে। এই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তবেই সেটির নাম হবে ‘মোচা’।

পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া দপ্তরের বিশ্লেষণ বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি সোমবারের পর প্রবল থেকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তারপর সেটি বাংলাদেশ কিংবা মায়ানমার উপকূলে ১২ অথবা ১৩ মে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা তারা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না নিম্নচাপ অঞ্চল সৃষ্টি হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না কোন পথে এগোবে ‘মোচা’, কোথায়ই বা এটি আছড়ে পড়বে। তবে যে কোনো মুহূর্তে এই ঝড় মিয়ানমার থেকে পশ্চিমবঙ্গসহ ওড়িশার মধ্যে যে কোনো উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

আবহাওয়ার আন্তর্জাতিক মডেল বলছে, চূড়ান্তভাবে উত্তর দিকে ঘোরার আগে এই ঘূর্ণিঝড় মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। এমনটা যদি হয়, সে ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়টি তামিলনাড়ু উপকূল বরাবর এগোবে এবং ১১ মে গতিপথ বদলাবে।

উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিক বরাবর এগোনোর সময় আরও বেশ শক্তিশালী হবে এই ঝড়। সে ক্ষেত্রে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপ নেবে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। সেটি আঘাত হানতে পারে বাংলদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল অথবা মিয়ানমারে। যদি এই দুই জায়গায় আছড়ে না পড়ে, তা হলে উড়িষ্যা অথবা পশ্চিমবঙ্গে ‘মোচা’র আছড়ে পড়ার শঙ্কা থাকছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by