রংপুর

রংপুরে অবসরপ্রাপ্ত এনএস আই পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ২৪ জুন ২০২০ , ৯:২০:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

রবিউল ইসলাম দুখু, রংপুর: জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি অবসরপ্রাপ্ত এনএসআই পরিবার। বুধবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে লেখিত বক্তব্য পাঠ করেন, গাইবান্ধা সদরের বারবলদিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এন,এস,আইয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল হাই সরকারের ছেলে শহিদুল আকতার সোহেল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ০৯/০৫/২০১২ইং তারিখে পূর্ব পরিচয় সূত্রে গাইবান্ধাস্থ জনতা ব্যাংক প্রধান শাখার কর্মকর্তা (এ্যাডভান্সড) আবু জাফর মো: ছালেহীনের নিকট কাছে যায়। সেই সাথে তার মাধ্যমে চা.জী লোনের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ১ লক্ষ টাকা লোন মঞ্জুর হলেও আবু জাফর মো: ছালেহীন ৪০ হাজার টাকা লোন পাশ হয়েছে বলে জানায়। চা.জী লোন নং-৭৩০। এ লোনের বিপরিতে একটি স য়ী হিসেব খোলা হয়। যার নং-১৮৪৪৪। স য়ী হিসেব সংশ্লিষ্টে দশ পাতা বিশিষ্ট দু’টি চেক বই ইস্যু করা হয়। উক্ত চেক বই দু’টির ২০টি ফাঁকা পাতায় তার পিতার স্বাক্ষর গ্রহণ পূর্বক ব্যাংকের নথিতে সংরক্ষণ করেন তৎকালিন জুনিয়র অফিসার এ্যাডভান্সড আবু জাফর মো: ছালেহীন। ২৪টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের জন্য নির্ধারিত থাকলেও লোনের পরিমাণ ৪০ হাজার টাকা হওয়ায় ৯ কিস্তিতে সুদসহ পািরশোধ করা হয়।
এরপর অব্যবহৃত স্বাক্ষরিত চেকের পাতাগুলো ষ্টেটমেন্টসহ চাইলে তা দিতে সময় ক্ষেপন করে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। তারপর চাকরি থেকে ২০১৫ইং সালে তার পিতা অবসরে আসলে পেনশনের ১১ লক্ষ টাকা ডিপোজিট করার জন্য ব্যাংকে গেলে ডিপোজিটে লভ্যাংশ কম বলে জানান ছালেহীন। সেই সাথে ওই টাকা তিনি তার নিজস্ব ক্লিনিক ও ছ’মিল ব্যবসায় বিনিয়োগ করার প্রলোভন দেখায় এবং ওই টাকা ছালেহীন গ্রহণ করলেও চুক্তিনামা দিতে টালবাহনা করে।
পরে জানতে পারেন শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে যোগসাজসে ব্যাংকের চেক ফেরত রেজিষ্টারে স্বাক্ষর জাল করে ২টি চেক বইয়ের মধ্যে একটির তথ্য গোপন করেন। অপর চেক বইটির স্বাক্ষরিত চেকের পাতা ছিড়ে নিয়ে ছালেহীন তার স্ত্রী মোছা. জোহরা বেগম কে দিয়ে তার পিতার বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকার নিগোশিয়েবল ইন্সট্রমেন্ট এ্যাক্টে সি আর ৫৩৯/১৭ মিথ্যা মামলা রুজু করে। এরপরও তিনি থেমে নেই। তার পুত্র জাকিউর রহমান জনিকে দিয়ে ২০১৮ ইং সালে একটি মামলা করেন। সেই সাথে তিনি নিজেও বাদি হয়ে ২০১৯ ইং সালে গাইবান্ধা সদর থানায় আরও একটি মামলা করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, গৃহহারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ওই প্রতারক চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। মো. ছালেহীনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলা করি নাই। ওই এন,এস,আইয়ের বিরুদ্ধে তার কোনও অভিযোগও নেই।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by