Uncategorized

রক্তিম সম্ভারে ভরে উঠেছে পলাশ

  প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৬:১৬:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

রতন মাহমুদ (পাংশা, রাজবাড়ী প্রতিনিধি):
এখন চলছে ঋতুরাজ বসন্ত। বসন্তের মাতাল সমীরণের টকটকে লাল বর্ণচ্ছটায় মন রাঙানো পলাশ প্রকৃতিতে এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। পত্রহীন গাছের নগ্ন ডালে প্রকৃতি তার আপন লীলায় মত্ত হয়ে উজ্জ্বল লাল বা গাড় কমলা রঙের পলাশ ফুটিয়ে মানুষের আদর ভালোবাসা বাড়িয়ে দিয়েছে । ফুলে ফলে সমৃদ্ধি বাংলার হাজার হাজার বৃক্ষরাজির মধ্যে পলাশ তাই অন্যতম।

আমাদের বাংলার প্রকৃতি, ভাষা, সমাজ, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের বড় স্থান দখল করে আছে বসন্ত। জীবন রসায়নে যেন কী এক পরিবর্তন আসে এই বসন্তে। হৃদয়ে সৃষ্টি হয় প্রণোদনা, নাড়া দেয় এক অব্যক্ত আবহ। কেবল মানব মানবীর মনেই নয় বৃক্ষরাজি, পক্ষী ও প্রাণিকূলেও বসন্তের হাওয়া দোলা দেয়। দখিনা হাওয়া, ঝরা পাতার শুকনো নূপুরের নিক্কন কিংবা কোকিলের কুহুতান। বাঙালির হৃদয়কে প্রেম-ভালোবাসার মধুরিমায় ছন্দায়িত করে তোলে মন।

 

 

বর্তমানে অনেকটা হারিয়ে যাওয়ার পথে এই প্রকৃতি সমৃদ্ধ করা পলাশ গাছগুলো। আস্তে আস্তে ম্লান হয়ে যাচ্ছে সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলা এই চিরায়ত দৃশ্যপট। নতুন প্রজন্ম বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃতির অমিয় শোভা উপভোগ থেকে। এর মধ্যেও রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের পলাশের হিরন্ময় উপস্থিতি রয়েছে। ইউনিয়নের বীর বিক্রম শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটে দুইটি গাছ ডালপালা মেলে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে। গাছ দুইটিতে ফুটেছে রাশি রাশি ফুল। বসন্তে গাছেগুলোতে নতুন ফুল এসেছে। দেখতে টকটকে লাল ছাড়াও হলুদ ও হালকা লালচে যেন চোখ সরানো দায়। পলাশ ফুল পাখির খুব পছন্দের, তাই হরেক পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দে এবং মৌমাছিদের আনাগুনায় মুখরিত হয়ে আছে।

বাংলা সাহিত্যেও পলাশের প্রভাব অতিশয়। অজস্র গানের কথায় কিংবা কবিদের কবিতার ছন্দে উঠে এসেছে বসন্তের এই স্মারক ফুলে। সুপ্রাচীন বাংলা সাহিত্যেও পলাশ বৃক্ষের ছিল সমান আদরণীয়। বসন্ত, ভালোবাসা আর পলাশ-শিমুল এ-যেন একই সুতোয় গাঁথা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by