চট্টগ্রাম

রায়পুরে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে পারাপারে দুর্ঘটনার শঙ্কা

  প্রতিনিধি ৩০ নভেম্বর ২০২২ , ৮:০১:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

লহ্মীপুর প্রতিনিধি :

লহ্মীপুররের রায়পুরে ডাকাতিয়া নদীর শাখা খালে একটি ভাঙা সেতু ও কাঠের পোল দীর্ঘদিনেও মেরামত করা হয়নি। এ কারণে চারটি ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগণকে ঝুঁকি নিয়েই বাধ্য হয়ে এগুলো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। একটু অসাবধানতায় বা রাতের অন্ধকারে যেকোন সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা। কবে নাগাদ এগুলো সংস্কার করা বা নতুনভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে তা কেউই নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে প্রস্তাবনা বিবেচনাধিন রয়েছে বলে জানা গেছে।
সেতু দুটি চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের (সিআইপি)’র অভ্যন্তরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)’র নিয়ন্ত্রণাধিন খালের উপরে অবস্থিত। উপজেলার উত্তর চরবংশী ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের লোকজনকে চলাচলে ব্যবহার করতে হয় উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে অবস্থিত মালেক খাঁ সেতুটি। অপরদিকে দক্ষিণ চর আবাবিল ও উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের লোকজনেকে ব্যবহার কতে হয় উদমারা নাছির বেপারী সেচ পাম্প সংলগ্ন কাঠের পোলটিকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ১৯৯৮ সনে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ করে। আটটি পিলারের ওপর সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেতুটির পূর্ব অংশে মাঝখান বরাবর দুটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকবার দূর্ঘটনা ঘটায় স্থানীয়রা গাছ ও ডালা দিয়ে স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ চি‎িহ্নত করে রেখেছেন। দুপাশের নিরাপত্তা দেওয়ালগুলোও ভেঙে পড়েছে। ইট-কনা সরে গিয়ে সেগুলোর অনেক স্থানেই রড বেরিয়ে পড়েছে। কাঠের পোলটিও এখন ব্যবহারের অনুপযোগি। সুপারি গাছ বসিয়ে স্থানীয়রা চলাচল অব্যাহত রেখেছেন। শতভাগ ঝুঁকি থাকায় এ দুটি পথে বৃদ্ধ, শিশু ও প্রতিবন্ধীরা চলাচল করতে পারছে না।
উত্তর চর আাবাবিলের বাসিন্দা মনির বকাউল, মাসুম বেপারী ও রায়হান মোল্লা বলেন, পোলটির স্থানে একটি সেতু নির্মিত হলে আমাদের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগের অবসান হতো। কাঠের পোল দিয়ে বাধ্য হয়েই আমাদেরকে চলাচল করতে হচ্ছে। অনেকেই বিকল্প পথ হিসেবে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। একই রকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তর চরবংশীর বাসিন্দা মরিয়ম বেগম, রহিম গাইন, করিম সরদার ও রহিমেরনেছা।
দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাওলাদার নুরে আলম জিকু বলেন, ‘কাঠের পোলটি ভেঙে এলাকার লোকজনের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।’
উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘বাধ্য হয়েই লোকজন ঝুঁকি নিয়ে গর্ত হওয়া সেতুটি দিয়ে চলাচল করছে। আমাকেও ঝুঁকি নিয়েই এ সেতুতে চলাচল করতে হয়। সেতুটি নতুনভাবে নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) রায়পুর উপজেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মালেক খাঁ সেতুটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি গৃহিত হলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ এসে ডিজাইন ও প্রাক্কলনসহ আনুসাঙ্গিক কাজ করবেন। তবে কবে নাগাদ এটি করা যাবে এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কাঠের পোলটি জরুরিভাবে মেরামত করে দেওয়া হবে। এখানে আগে রাস্তার কাজ করে পরে সেতু নির্মাণের একটি প্রস্তাবনার আলোচনা চলমান আছে।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by