প্রতিনিধি ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ , ৬:০৮:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
সুদেব কুরী, রায়পুর (লক্ষীপুর) প্রতিনিধি :
লক্ষীপুরের রায়পুরে একটি সংঘবদ্ধ হাউজিং ও মাটি ব্যবসায়ি দলের হয়রানিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন এক গ্রামের অসংখ্য লোক। উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরাজবাড়ি এলাকায় চলছে এ অবস্থা। ওই এলাকার ভ‚মি ব্যবসায়ি জাকির হোসেন রাঢ়ি এ হয়রানি করছেন বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ।
যে জমি ও মাটিতে অধিক ব্যবসা হবে, সেই মাটির দিকেই নজর থাকে তাঁর। ওই জমিতে হাউজিং ও মাটি কাটতে কেউ বাধা হলে তাঁকেই তিনি মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করেন। তবে গ্রামের লোকজনকে তাঁর ভালো ব্যবসায় হিংসা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ করেছেন জাকির। সরেজমিন ওই এলাকা ঘুরে লোকজনের সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে এমন চিত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাকির হোসেন রাঢ়ি পেশায় একজন মাটির ব্যবসায়ি। কম দামে জমি কিনে সেখানে প্লট করে বেচা এবং ফসলি জমির উপরিভাগ কিনে তা অধিক দামে ইটভাটায় বেচার কাজ করেন তিনি। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করে চলেছেন স্থানীয় মোঃ মুরাদ হোসেন, মোঃ ফয়েজ, বাহার কবিরাজ, বিল্লাল কবিরাজ, সিদ্দিক মাঝি, আমজাদ হোসেন রাঢ়ি, ইব্রাহিম মাঝি, তাফাজ্জল হোসেন, মোঃ আজগর, মিজানুর রহমান সহ আরো ১০-১২ জন।
এঁদের দ্বারা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানি হয়েছেন ওই এলাকার আবু তাহের, আবু সিদ্দিক মাঝি, সিডু হাওলাদার, নাইম হোসেন, ফিরোজ আলম, সাগর হোসেন, দিদার হোসেন, তসলিম কবিরাজ, তহিরুল ইসলাম, তানিয়া তুলতানা, আবু তাহের শান্ত, ওমর শরীফ, জাহাঙ্গীর হোসেন, তাহেরা বেগমসহ এলাকার আরো অনেকেই।
চরবংশী এলাকার দেলোয়ার হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জাকির হোসেনের চক্রটি মাটি ও হাউজিং ব্যবসা করতে গিয়ে জনগনকে হয়রানি করে অতিষ্ট করে তুলেছে। আমরা জমির উপর দিয়ে গাড়ি নিতে বাধা দেওয়ায় আমাদেরকেও হয়রানি করছেন। সম্প্রতি গাছ কাটতে গিয়ে হাত কেটে ফেলা আজগরকে প্রলোভনে ফেলে আমাদেরকেসহ অনেকের নামেই মামলা করে দিয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জাকির হোসেন রাঢ়ি বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জের ধরে এলাকার অনেকেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটাচ্ছে। আমি কারো জমি বা মাটি জোরপূর্বক নিচ্ছি না। মাটি কিনে অন্যত্র বেচে ব্যবসা করে যাচ্ছি। কাউকে আমি মামলায় হয়রানি করছিনা। বরং আমাকেই তাঁরা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।’
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়–য়া বলেন, ‘ওখানে মাটি ও জমি নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছে। একটি মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’