চট্টগ্রাম

রোহিঙ্গাদের ভোটার করায় তিন কাউন্সিলর দুদকের হাতে গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২১ , ৬:৩৬:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন, ভোটার ও পাসপোর্ট পেতে সহযোগীতার অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক ও বর্তমান তিন কাউন্সিলর এবং জন্মনিবন্ধন শাখার একজন অফিস সহকারীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (২৮ মার্চ) ভোরে কাউন্সিলরগণ এবং সকাল নয়টার দিকে অফিস সহকারীকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দীন। গ্রেফতারকৃতদের দুপুরের দিকে স্পেশাল জজ আদালতে তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন আদালত।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও জেলা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মোহাম্মদ কায়সার নোবেল, ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মিজানুর রহমান এবং জন্মনিবন্ধন শাখার অফিস সহকারী দিদারুল আলম।

 

দুদক কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দীন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার পৌরসভা থেকে রোহিঙ্গারা জন্মনিবন্ধন, ভোটার ও পাসপোর্ট পেতে সহযোগীতা পেয়ে আসছিলো। প্রায় কাউন্সিলর ও কিছু কর্মকর্তা এসব আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডে জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দুদক। তথ্য-প্রমাণসহ কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মোহাম্মদ কায়সার নোবেল, ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মিজানুর রহমান এবং জন্মনিবন্ধন শাখার অফিস সহকারী দিদারুল আলম ওরফে মুবিনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কক্সবাজারের বিশেষ জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতের হাজির করা হলে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

 

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গা নাগরিককে বাংলাদেশের নাগরিক সাজিয়ে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে জন্মসনদ ও বিভিন্ন ধরণের নথিপত্র প্রত্যায়নের মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রদানের সহায়তার অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পৌর কর্মচারী দিদারুল ইসলাম ওরফে মুবিনের বিরুদ্ধে রয়েছে এসব অপকর্মে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতার নানা অভিযোগ। এসব অভিযোগে মামলা করে দুদক (যার নং-১০/২০২১)।

 

দুদকের সহকারী উপ-পরিচালক বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন, ভোটার ও পাসপোর্ট পেতে সহযোগীতার অভিযোগ পাবার পর এ নিয়ে দুদকের একটি অনুসন্ধান দল দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলো। পরবর্তীতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কক্সবাজার পৌরসভাসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ দুদকে ১২ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে রয়েছে ৪ টি মামলা।

 

বিষয়টি সম্পর্কে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, এটি আমার পূর্বের পরিষদ থাকাকালীন সময়ের অভিযোগ। গ্রেফতারকৃতদের মাঝে বর্তমান কাউন্সিলর মিজান পূর্ববর্তী পরিষদেও কাউন্সিলর হিসেবে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় দুদক ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা একে সাধুবাদ জানায়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by