চট্টগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ৭:০০:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল পাঠানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। মধ্যস্থতা করতে গিয়ে ১৮ লক্ষ টাকার চেক জমা রেখেই উল্টো প্রতিপক্ষকে দিয়ে চেক জালিয়াতি মামলা দায়েরের অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী মো. আফছার উদ্দিন। এনিয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে দায়েরকৃত মামলাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে র‌্যাব ও সিআইডি তদন্তের দাবি জানান তিনি।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে স্থানীয় সম্পাদক পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এই অভিযোগ করেন নবরূপা হোলন্ডিংস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফছার উদ্দিন। বাবুল পাঠান রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, লক্ষ্মীপুর নিউ মার্কেট এর নিচ তলায় ১৮নম্বর দোকান সাইফুল্লা মাস্টারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে খায়ের নামে অন্যএকজন দোকানটি জবরদখল করে নেয়। বিষয়টি আওয়ামী লীগ নেতা নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে জানানো হয়। পরে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ১৮ লক্ষ টাকার চেক জমা দিয়ে দোকানটি তাকে রেজি: করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে দোকান রেজিষ্ট্রেশন না দিয়ে বাবুল পাঠানকে রেজি: দিয়ে প্রবাসে চলে যায় জাহাঙ্গীর। এরই মধ্যে তার দেয়া চেক আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল পাঠানকে দিয়ে দিলে তিনি অন্য এক জাহাঙ্গীর আলমকে দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ব্যবসায়ী আফছারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কার্যতালিকায় শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনাটি র‌্যাব বা সিআইডি তদন্তের দাবি জানান তিনি।
জানতে চাইলে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান বলেন, মামলার বাদি জাহাঙ্গীর আমার আত্মীয় হয়। নুর উদ্দিন নয়ন বা আমাকে কোন চেক দেওয়া হয়নি। জাহাঙ্গীর বিদেশে চলে যাওয়ার পর মামলাটি চালানোর জন্য আমাকে শুধু পাওয়ার দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে সমস্যা ছিল। তবে আমার কাছে কোন চেক দেওয়া হয়নি। বিষয়টি বাবুল পাঠানকে সমাধান করে দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫/৬ বছর পার হলেও কেউ আর আসেনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by