চট্টগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে ওসি-এসপি, এমপি’কে নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবী সাবেক ছাত্রলীগ নেতার

  প্রতিনিধি ১৬ মে ২০২৩ , ১:১৩:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মোহাম্মদ হাছান,চন্দ্রগঞ্জ(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু’র একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) ২৮ সেকেন্ডের এই অডিও ক্লিপ বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যক্তিগত আইডি থেকে শেয়ার করা হয়। এই অডিও ক্লিপ নিয়ে জেলা জুড়ে চলছে তোড়পাড়। যেখানে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এবং লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপারকে কটাক্ষ করা হয়েছে। এছাড়াও রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর সংসদ সদস্যকেও নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপটি হলো “ আমি তোমাদেরকে বলার দরকার আছে আমাদের কাছে কি অস্ত্র নাই? এই এখন ওসিকে ফোন দিমু, ওসি সাব আমি এখানে আছি, ঝামেলায় আছি, পুলিশ পাঠাইবো ৫০টা আমার লাই। এসপি পাঠাইব। আই বসি থাকব, বাবলুরে আই গাড়িত করি লই যাইব। বাবলু ভাই তুন এই দেশে বড় নেতা কে? আঙ্গো বাবলু ভাইর কাছে রায়পুরের এমপি আইয়ে, সদরের এমপি আইয়ে, উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ে, জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা আইয়ে, নেতা গিরি কইল্লে বাবলু ভাইর লগে করিউম। বেকে বাবলু ভাইরে মানে……”

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা কাজী বাবলু ২০১২ সালে কুমিল্লায় ডাকাত নাছিরের সাথে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়। পরে কুমিল্লায় তার নামে ১টি অস্ত্র মামলা ও ১টি ডাকাতি মামলা করা হয়। সেই মামলায় প্রায় ১১মাস কুমিল্লায় জেল হাজতে ছিল। এছাড়াও ২০১৯ সালে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানায় তার নামে একটি ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা করা হয়, ঐ মামলায় সে প্রায় ১মাসের বেশি জেল খেটেছে। নানা বিষয়ে বিতর্কিত এই নেতা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এখনো দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারন মানুষ এবং নিজ দলীয় নেতারা এই বিতর্কিত পদ পদবীহীন বিতর্কিত নেতার বিরুদ্ধে  প্রশাসনিক এবং দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

কাজী বাবলু সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দেওপাড়া গ্রামের কাজী বাড়ির মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। গত ৩/৪ বছর তার রাজনীতিতে কোন পদ পদবী না থাকলেও রাজনীতির নাম ভাঙ্গিয়ে গড়ে তুলেছে সম্পদের পাহাড়।

এ বিষয়ে কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু তার নিজের ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি থেকে একটি স্বীকারোক্তিমূলক পোষ্ট করেন এবং তিনি দাবী করেন এটা ৩/৪ বছর আগের তার একটি প্রোগ্রামের ৩০ মিনিটের বক্তব্য। এটাকে কে বা কাহারা বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে  পোষ্ট করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম জানান, “বক্তব্যটি আমি শুনেছি, যে কেউ চাইলে প্রশাসনকে নিয়ে বলতে পারে। এটা তাদের রাজনৈতিক বিষয়”।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by