চট্টগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে ৩ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের দায়ে  মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

  প্রতিনিধি ১২ মে ২০২৩ , ৮:১২:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মোহাম্মদ হাছান, চন্দ্রগঞ্জ(লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরে দারুল নাজাত ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় ৩ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের দায়ে ১জন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১২ মে) রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চন্দ্রগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে পশ্চিম লতিফপুর গ্রামে অবস্থিত ‘‘দারুল নাজাত ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসায়’’ এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ১জন ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। মামলায় এজাহার নামীয় ১জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩জন মোট ৪জনকে আসামী করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এজাহার নামীয় আসামী বলাৎকারকারী মো. রহমত উল্যাহকে গ্রেপ্তার করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মফিজ উদ্দিন।

স্থানীয়ভাবে ও এজাহার সূত্রে জানাযায়, উল্লেখিত মাদ্রাসার ৩য় জামাতের ৩ শিক্ষার্থী রাত ১২টার দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনের স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে এবং বলাৎকারের বিষয়ে অবগত হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশকে খরব দিলে পুলিশ এসে ৩জন ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষক রহমত উল্যাহকে গ্রেপ্তার করে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. রহমত উল্যাহ পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১৪নং ইউপি’র মৌকরন  গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস তালুকদারের ছেলে।

দারুল নাজাত ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের অবস্থিত।

ভিকটিমরা জানায় রাতের বেলায় সবাই ঘুমিয়ে গেলে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মো. রহমত উল্যাহসহ আরো ২/৩জন তাদের কোলে নিয়ে নানা রকমভাবে যৌন হয়রানী করত এবং যৌনহীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তাদেরকে পায়ু পথে ধর্ষণ করত। এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে তাদেরকে অনেক মারধর করবে বলে হুমকি ধমকি দেয় অভিযুক্ত শিক্ষকরা। অবশেষে অনেক কষ্ট করে রাতের আধারে মাদ্রাসা থেকে তারা পালিয়ে যায়।

৩জন ভিকটিমের মধ্যে ২জনই নেত্রকোণা জেলার এবং ১জন নোয়াখালী জেলার। ভাংগারী ব্যবসার সুবাধে নেত্রকোনা থেকে লক্ষ্মীপুরে এসে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে তারা।

চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার সাথে সাথেই অভিযুক্ত বিবাদী মো. রহমত উল্যাহকে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারকৃত রহমত উল্যাহ ও অজ্ঞাত ৩জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়াও তিনি আরো জানান, আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামী বিজ্ঞ আদালতের নিকট তাহার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by