বরিশাল

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা

  প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ৪:১২:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবোঝাই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন এ মামলা করেন। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগার পর পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। জীবন বাঁচাতে অনেকে নদীতে লাফ দেন। এ ঘটনায় ৪১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

ঘটনা তদন্তে শুক্রবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। শনিবার সকালে কমিটির সদস্যরা আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ পরিদর্শনে যান। তিনতলা লঞ্চটি এখন ঝালকাঠির দিয়াকুল এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীরে ভেড়ানো রয়েছে।

এদিকে, জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, ঝালকাঠি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ ৫১ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে। আপাতত একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা বরগুনা জেলা প্রশাসন তৈরি করবে।

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মৃত ২৭ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ১টায় বরগুনার পোটকাখালী গ্রামে খাকদোন নদীর তীরবর্তী গণকবরে এসব মরদেহ দাফন করা হয়।

এর আগে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে চার মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যায় স্বজনরা। পরে গতকাল শুক্রবার রাতে ঝালকাঠি থেকে বরগুনা সদর হাসপাতালে এসে পৌছায় ৩৩টি মরদেহ। এরপর রাতেই একটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যায় স্বজনরা। শনিবার সকালে আরও তিনজনকে শনাক্ত করেন স্বজনরা। পরে ২৯ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজার পরে আরও দুজনকে শনাক্ত করে স্বজনরা। বাকি ২৭ মরদেহ দাফনের জন্য নিয়ে আসা হয়।

বেওয়ারিশ লাশের দাফনের সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

Powered by