চট্টগ্রাম

শিবপুর ফিরোজা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় লাখ লাখ টাকার বানিজ্য ও আত্নসাতের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১৭ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:৫৬:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মাহফুজুর রহমান, চাঁদপুর:
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার লাকশিবপুর ফিরোজা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম-জালিয়াতিসহ লাখ লাখ টাকার অর্থ বাণিজ্য ও আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ প্রমাণে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তদন্ত।
ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত ৪ অভিভাবক সদস্যসহ নিয়োগ বঞ্চিত ও সচেতন এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন ও সভাপতি আবুল খায়েরের অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে বৈধ ভাবে নিয়োগের জন্য দাবী জানান। এ বিষয়ে প্রশাসন সহ শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিস্ট উর্ধতন কতৃপক্ষ বরাবর অভিযোগপত্রও জমা দিয়েছেন তারা।
নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ামানুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে নোটিশের মাধ্যমে কমিটির সকলের সমন্বয়ে মিটিংয়ে রেজ্যুলেশন করার নিয়ম থাকলে ৪ জন নির্বাচিত প্রতিনিধিকে বাদ দিয়ে নোটিশ ছাড়াই গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করায় জনমনে ক্ষোভ ও সমালোচনার জন্ম নিয়েছে।
এদিকে চাকুরীর আশ্বাসে কাউসার আলম নামের এক নিয়োগ প্রার্থীর কাছ থেকে সাড়ে ৮ লাখ হাতিয়ে নিয়েও চাকুরী না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণা মামলা করেন ওই নিয়োগ প্রার্থী। এরপরেই একে একে বেড়িয়ে আসতে থাকে থলের বেড়াল।
জানা যায়, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, ল্যাব-অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছনতা কর্মী পদে চার ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়োগের কথা বলে ২১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। মিটিং ছাড়াই গোপনে আগে থেকেই বিদ্যুৎসাহী সদস্য শরীফ মিয়াজীর শ্যালক সোহেলকে নিরাপত্তা কর্মী পদে ও অভিভাবক সদস্য জহিরুল ইসলাম স্বপনের চুক্তিতে ল্যাব-এসিস্ট্যান্ট তানিয়া আক্তার ও তার আপন ভাতিজিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের জন্য তদবীর করা হয়। বিষয়টি কেউ যেন না জানে সেজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিয়োগের কার্যক্রম গোপনে সম্পন্ন করার অপচেষ্টাও চালানো হয়েছে।
এদিকে অনিয়মের আখড়া হিসেবে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানটির অপকর্ম শুধু তাই নয়, পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, গাইড বই বানিজ্য সহ বিদ্যালয়ের নানান তহবিল তসরুপের অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে অসংখ্য শিক্ষার্থীদের এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে মার্কশীট বাবদ নেওয়া অতিরিক্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন।
এদিকে অভিযুক্ত সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে কয়েকবার ফোন দিলেও ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান তারা।
আর দূর্নীতির আভাষ পেয়েও এই বিষয়ে তার কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলী রেজা আশরাফী।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by