ময়মনসিংহ

শেরপুরের নকলায় কালভার্ট বিড়ম্বনায় ৬ গ্রামের মানুষ

  প্রতিনিধি ৭ এপ্রিল ২০২১ , ৮:০৪:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ৮নং চন্দ্রকোণা ইউনিয়েনের চরমধুয়া নামাপাড়া মৃগী নদীর পাড়ে গবার মোড় এলাকায় সরকারের নির্মিত তিনটি কালভার্ট বিড়ম্বানায় পড়েছে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

 

২০২০ সালের শুরুতে দুইটি কালভার্ট করেছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর অপরটি করেছে এলজিইডি। এখানে পানি যাওয়া আসার কোন বিষয় নেই তবু কেন এই কালভার্ট করা হয়েছে তা এলাকার মানুষ জানে না।

 

কালভার্ট গুলো নির্মাণের ৪/৫ মাসের মধ্যেই রাস্তাসহ ভেঙ্গে গেছে। ফলে ওই রাস্তায় চলাচল করতে পারছে না এলাকার মানুষ। তিনটি কালভাটর্ই বাস্তবায়ন করেছে নকলা পিআইও (প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) অফিস।

জানা গেছে ওই সড়কের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা আওতায় ৩০ গজের মধ্যে পাশিপাশি দুইটি কালভার্ট নির্মান করা হয়। যার সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১ লাখ টাকা।

 

এই কার্লভাট দুটি নির্মানের কয়েক মাসের মধ্যে উদ্বোধন করার আগেই ভেঙ্গে গেছে। এর আগে ২০১২ সালে সাড়ে ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ওখানেই আরেকটি কালভার্ট নির্মান করে এলজিইডি। এলজিইডির কালভার্টটি ৩/৪ বছর টিকেছে। মোট ৫০ গজের মধ্যে এই তিন কালভার্টে সরকারের মোট খরচ প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা।

 

এলাকার মানুষ বলেছেন এই কালভার্ট গুলোর কোন দরকার ছিল না। কি প্রয়োজনে করা হলো কেউ জানে না। কালভার্ট গুলো কোন কাজেই আসেনি। বরং কালভার্টের সাথে রাস্তাটিও ভেঙ্গে গেল বর্ষায় নদী থেকে পানিবালি উঠে অন্তত ২৫টি বসতবাড়ী, তিনশ একর জমির ধান ক্ষেত ও অন্যান্য ফসল নষ্ট করেছে। রাস্তা দিয়ে চলাচলের কোন অবস্থাই নেই।

 

ওই এলাকার কাজিয়ার চর, হাতিমারা, দধিয়ার চর, ডিগ্রীর চর, চর মধুয়া, নামাপাড়ার হাজার হাজার মানুষ দূর্ভোগে পড়েছে। অসুস্থতায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া সব কিছুই করতে হয় ক্ষেতের আইল দিয়ে।

 

এলাকার কৃষক স্বপন মিয়া, রফিকুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম, সোহানুর রহমান জানিয়েছে প্রয়োজন ছাড়া শুধুশুধু সরকারি টাকা এখানে ব্যয় করা হয়েছে।

 

তাদের দাবী, আামরা বারবার বেরী বাঁধ চেয়েছি, করা হলো কার্লভার্ট। কালভার্ট তিনটি রাস্তা নিয়ে ভেঙ্গে পড়ায় এই দূরাবস্থা।কালভার্টের টাকায় রাস্তা করলেই হতো।কালভার্ট নির্মাণের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন স্থানীয়রা।

 

স্থানীয় চেয়ারম্যার সাজু সাঈদ সিদ্দিকি জানিয়েছে ওখানে একটি কার্লভার্ট হওয়ার কথা ছিল হয়েছে তিনটি। সকল দায়িত্ব ছিল পিআইও (প্রকল্প) অফিসের। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন একে তো বালুর উপর কার্লভার্ট তার উপর গত বছরের অধিক বন্যায় এই অবস্থার সৃষ্ঠি করেছে।

 

এ ব্যাপারে পিআইও জাহাঙ্গির আলম এর সাথে বারবার যোগযোগ করা হলেও তিনি বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

 

উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন জনচাহিদার ভিত্তিতেই কার্লভার্ট করা হয়েছে। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন নেই।

তবে বন্যায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। জনদূর্ভোগ কমাতে প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by