ঢাকা

শ্রীপুরে বসতঘর মেরামত করতে বাঁধার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৪ জুলাই ২০২১ , ৮:১৬:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

পাশের বাড়ির টিনের ছাউনি থেকে বৃষ্টি হলেই পানি গড়িয়ে পড়ে মাটির দেয়াল ভেঙ্গে গেছে। অল্প বৃষ্টিতেই পানি ঘরের মেঝেতে থই থই করে। ঘরের উপড়ের টিনগুলো গত বছরে শিলা বৃষ্টি পড়ে ঝাঁজরা হয়ে গেছে। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলে সারারাত পরিবার নিয়ে র্নিঘুমে রাত কাটাতে হয়। দুঃখের যেন শেষ নেই। বাড়ির চারদিকে ভেড়া, বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

বাড়িতে সর্বশেষ চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ও বন্ধ করে দিয়েছে। এখন বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে অন্যের বাড়ির ভিতর দিয়ে আসতে হয়। এমনকি পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন পুরোনো একটি টিউওবয়েল ছিল তা ও নষ্ট, মেরামত করতেও বাঁধা দিচ্ছে। নানা প্রকার হুমকি ধামকির ভিতর দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ৪মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে অসহায় সাহাজ উদ্দিনের পরিবার। যে কোন মুর্হুতে বাড়ি ভেঙ্গে বড় ধরনের র্দূঘটনা ঘটতে পারে। এলাকার সমাজপতিসহ পুলিশের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করে ও কোন প্রতিকার পায়নি। এখন অসহায় সাহাজ উদ্দিনের আর্তনাত শুনার যেন কেউ নেই।
এমন ভয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মুলাইদ গ্রামের রঙ্গিলা বাজারের পূর্ব পাশে মৃত হযরত আলীর ছেলে সাহাজ উদ্দিন (৪৫)। তার বাবা মারা যাওয়ার আগে মায়ের নামে এক গন্ডা জমি দান করেন চাচা হাজি সব্বত আলী।

সেই দানকৃত জমিতে মাটির ঘর ও টিনের বেড়া দিয়ে একটি খঁপড়ি কুঁড়েঘর নির্মাণ করে প্রায় ৪৫ বছর ধরে বসবাস করে ভোগ দখলে আছে। আর এই ১ গন্ডা জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে প্রতিপক্ষ বেলাল উদ্দিন।

সাহাজ উদ্দিন জানান প্রতিপক্ষ বেলাল উদ্দিন ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরটি মেরামত করতে দেয় না। শুক্কর জান বিবির কাছ থেকে মুলাইদ মৌজার সিএস খতিয়ান ৬৭ এসএ খতিয়ান ২০১ আরএস ১৮৪ সিএস এসএ ২২১ আরএস ১৪৩৩ দাগ থেকে ১ গন্ডা জমি আমার মাকে দান করেন হাজি সব্বত আলী।

বেলাল উদ্দিনের জায়গা মহাসড়কে নিয়ে গেছে বলে তিনি দাবী করেন। প্রতিপক্ষ বেলাল উদ্দিন বলেন, আমি শহর আলীর কাছ থেকে ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে দখলে আছি। আমার দখলকৃত জায়গায় সাহাজ উদ্দিনের পরিবার বসবাস করছে। যার জন্য তার ঘর মেরামত করতে বাঁধা প্রদান করি। সে অন্য দাগে জমি পাবে। শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, সাহাজ উদ্দিনের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়ে একজন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by