শ্রীপুরে মসজিদের জমি নিয়ে সংঘর্ষ আহত-৮

শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুরে মসজিদের ওয়াকফকৃত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারধরের ঘটনায় ৮জন আহত হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের লাকচতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত আকতার হোসেন ও তার বোন শাহানাজ পারভীন বাদী হয়ে ৫জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক ২টি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা হলো একই এলাকার মৃত আব্দুল হেলিমের ছেলে মোরশেদ আলম (৬০), মোরশেদ আলমের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫), শারফুল ইসলাম (৪৫),সাইদুল ইসলাম (৪০) ও শারফুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০)।

ঘটনার পরেই শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানার এসআই সুমন মিয়া ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সাংবাদিকদের। আহতরা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন, আজিজুল ইসলাম (৩১),শাহানাজ (৩৫), আজহারুল ইসলাম (২৫), ওসমান (১৯), আবুল হোসেন (৪৮), আক্তারুল ইসলাম (৩০), সাফায়েত হোসেন (৩২) ও বাতেন মিয়া (৩৫)।

প্রতিপক্ষের লোকজন শাহানাজ ও তার ভাই আকতার হোসেনের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে দাবী করছে শাহানাজ আক্তার। প্রতিপক্ষ র্মোশেদ মিয়া তাদেরকে ফাঁসানোর জন্য তার নিজের একটি খরের পুঞ্জিতে আগুন লাগিয়ে উল্টো তাদের বিরোদ্ধে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে বলে তার ভাই আকতার হোসেন দাবী করছে।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনাব মৌজার ৭ শতাংশ জমি ২০০৫সালে ওয়াকফনামা দলিলমূলে লাকচতল মজিবুর রহমান মসজিদের নামে লিখে দেন। লিখে দেয়া সাত শতাংশ জমি অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে দখলে রাখে। পরে শুক্রবার বেলা ১১টায় মসজিদ কমিটির সভাপতি ও এলাকার মুসুল্লীরা অভিযুক্তদের ডেকে ওই জমি বুঝিয়ে দিতে বলে। এসময় অভিযুক্তরা উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ শুরু করে তাদের মধ্যে মারধর শুরু করে। মারধরের এক পর্যায়ে অভিযুক্ত রফিকুলের হাতে থাকা দা দিয়ে ওসমানকে কোপ দেয় এবং আজিজুলসহ অন্যান্যদের রড, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এলাকাবাসি রাম দা উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছে দেয়।

শ্রীপুর থানার অফির্সাস ইনর্চাজ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান,উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়াকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।