ভারত

‘সরকারবিরোধী মানে দেশদ্রোহী নয়’

  প্রতিনিধি ৪ মার্চ ২০২১ , ৫:৫৫:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই ‘দেশদ্রোহী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনেকবার এমন অভিযোগ করেছেন ভারতের বিরোধী দলের নেতারা। তবে সরকারের বিরোধিতা করলেই তাকে ‘দেশদ্রোহী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা সঠিক বলে মনে করেন না দেশটির শীর্ষ আদালত।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও আঞ্চলিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ’র বিরুদ্ধে একটি আবেদনের শুনানিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।

একইসাথে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, আবেদনকারীদের দাবি খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ফারুকের বিরুদ্ধে নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছেন আবেদনকারীরা। সেই সঙ্গে বুধবার (৩ মার্চ) ওই মামলায় আবেদনকারীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টে ফারুকের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন রজত শর্মা ও নেহ শ্রীবাস্তব। তাদের দাবি, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজ করা প্রসঙ্গে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে চীন-পাকিস্তানের সাহায্য নিয়েছেন ফারুক।

কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে আবেদনকারীদের মন্তব্য, ‘ফারুকের সংসদীয় সদস্যপদ কেড়ে না নেওয়া হলে তা ভারতে তার মতো দেশদ্রোহীদের উৎসাহ দেওয়ার শামিল হবে। দেশের ঐক্যের পক্ষে যা ক্ষতিকারক।’

তবে দেশটির শীর্ষ আদালত মনে করেন, ‘সরকারবিরোধী মতপোষণ করা বা সরকারের বিরোধিতা করলেই যে তা দেশদ্রোহিতা, এমনটা বলা যায় না’।

২০১৯ সালের আগস্টে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দেয় মোদি সরকার। সেই সঙ্গে ওই রাজ্যকে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়।

তারপর থেকেই ফারুকসহ উপত্যকার একাধিক রাজনীতিককে গৃহবন্দি করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ৮৩ বছর বয়সী ফারুক আবদুল্লাহ।

গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরপরই কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাকে ফের বন্দী করা হয়েছে বলেও দেশটির গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by