রংপুর

সাদুল্যাপুরে সেলুন কর্মীদের এইডস সম্পর্কে ধারণা নেই

  প্রতিনিধি ৩০ নভেম্বর ২০২০ , ৫:২৩:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : একেতো করোনাকাল তার উপর আবার সেলুন থেকেও এইডস ছড়াতে পারে, এমন ধারণাই নেই গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার সেলুন কর্মীদের। চিকিৎসকের মতে এইডস ছড়ানোর তিন কারণের মধ্যে সেলুন কর্মীরাও আছেন। কিন্তু এইডসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা না থাকায় সেলুন কর্মীরা এই বিষয়ে অজানার মধ্যেই আছেন। তাই এইডস নিয়ে তেমন কোন ভাবনা নেই এখানকার সেলুন কর্মীদের। সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিনুল ইসলাম মন্ডল বলেন, মানবদেহে তিন কারণে এইডস ছড়ায়। এর মধ্যে যার-তার সঙ্গে যৌন মিলন, এইডস রোগীর রক্ত গ্রহণ কিংবা এইডস জীবানুবাহী কিছু দ্বারা কেটে গেলে। আর এই কেটে যাওয়ার মধ্যে সেলুন কর্মীরা পরেন। অথচ সেলুন কর্মীদের এইডস সম্পর্কে সচেতন করতে তেমন কোন উদ্যোগ নেই। তাই এইডস রোগের ভয়াবহতা না জেনেই সেলুন কর্মীরা দিনের পর দিন এখনো যত্রতত্র কাজ করেই যাচ্ছেন। সাদুল্যাপুর উপজেলা শহরের সেলুন কর্মী সাজাহান মিয়া জানান তাদের থেকে এইডস ছড়াতে পারে এটি তার জানা নেই। আরেক সেলুন কর্মী জয়ন্ত শীল জানান এইডস নিয়ে তার তেমন কোন ধারণাই নেই। উপজেলা পরিষদ মোড়ের সেলুন কর্মী ও উপজেলা সেলুন এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মফিজুল ইসলাম বলেন চুল কাটা ও দাড়ি সেভের পর ফিটকারি, স্যাভলন ক্রিম ও লোসন লাগিয়ে দিলে আরো কোন ভয় থাকেনা। তাই সেলুন থেকে কোন রোগ ছড়ানো কিংবা অসুস্থ্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মানবাধিকার কর্মী ও সাদুল্যাপুর বণিক সমিতির সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন বলেন অনেক সেলুন কর্মী যত্র তত্র বসে চুল দাড়ি কাটার কাজ করেন। তুলনা মুলক কম টাকায় চুল দাড়ি কেটে নেওয়ার আশায় অনেকেই সেখানে যান। এই যাদের অবস্থা, তারা কিভাবে বুঝবে এইডস কতটা মারান্তক অসুক? এজন্য সেলুন কর্মীদের সচেতন করতে তাদের নিয়ে বড় ধরণের সভা-সেমিনারের আয়োজন করতে হবে।
সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, এইডস সম্পর্কে এখনো অনেক মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই তারা যেখানে-সেখানে সেলুনকর্মী দ্বারা নিজের প্রয়োজনীয় কাজটি সেরে নেয়। তাই এইডস প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেলুন কর্মীদের সচেতনতার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by