বাংলাদেশ

সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১৮ মার্চ ২০২১ , ৭:৫৬:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া সভা সমাবেশসহ বাইরে চলাফেরা সীমিত করার আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো করোনার সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, আক্রান্তের দিক থেকে গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যা ছুঁয়েছে। এদিন শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৮৭ জন। কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতবরণ করেছেন ১৬ জন।

সংক্রমণের চাকা যখন দ্রুতগতিতে ছুটছে ঠিক তখন উল্টো চিত্র দেখা যায় সাধারণের মাঝে। স্বাস্থ্যবিধি অবজ্ঞা করে মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছেন অনেকে।

এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতর সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে ১২ দফা সুপারিশ করেছে। অতিরিক্ত জনসমাগম রোধ, স্কুল কলেজ বন্ধরাখাসহ নানা সুপারিশও রয়েছে। সম্ভব হলে লকডাউনের প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে সুপারিশমালায়। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানলে লকডাউনের প্রয়োজন হবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠান, ওয়াজ-মাহফিল এছাড়াও অন্যান্য যে সকল অনুষ্ঠান আছে এগুলো সীমিত করুন। এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বর্তমানে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার দুটাই বেড়েছে।

লকডাউন প্রশ্নে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেলে চললে লকডাউন প্রয়োজন হবে না। তবে কিছু পরামর্শ সরকারকে আমরা দিয়েছি। আমরা নয়, লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিলেই কিন্তু আপনি সুরক্ষিত হয়ে গেলেন না, ওটাও মানবদেহে কার্যকর হতে সময় নেবে। কাজেই আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। লকডাউনের চিন্তা সরকার করে এবং সরকারের সকল সংস্থা মিলে বসে সিদ্ধান্ত হয়, সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।’

এদিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক জানান, করোনার সংক্রমণরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে ২১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা যে করোনার আকস্মিক ঊর্ধ্বগতি দেখছি এটাকে অবশ্যই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সে কারণেই আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ করব, সবাই যাতে করোনার স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে। ২১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ পুলিশ এক বিশেষ অভিযান কর্মসূচী পালন করবে। এবং এটা যতদিন প্রয়োজন আমরা চালিয়ে যেতে চাই।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by