রাজশাহী

সুজানগরে ১০টির অধিক অবৈধ ইটভাটা

  প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২১ , ৮:৩৬:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

সুজানগর (পাবনা) :

সরকারী নিয়মনীতি না মেনে সুজানগর উপজেলায় কৃষি জমি গ্রাস করে গড়ে উঠেছে ১০টির অধিক ইটভাটা । আর অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসকল ইটভাটার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এই উপজেলায় কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনকারী কৃষকেরা।

এতে কমেছে কৃষি জমি, বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী কৃষি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বনভূমি, অভয়ারণ্য, জনবসতিপূর্ণ ও আবাসিক এলাকায় ও বছরে একের অধিক উৎপাদিত ফসলি কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা নিষেধ রয়েছে। কিন্তু সে আইন লঙ্ঘন করে সুজানগর উপজেলার প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা গড়ে তুলেছেন ইটভাটা।

এতে ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া অতি সহজেই লোকালয় ও ক্ষেত-খামারে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুধু তাই নয় গ্রামীণ রাস্তা ব্যবহার করে ভারী যানবাহন দিয়ে ইট ও ইট তৈরির কাঁচামাল পরিবহন করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাকা রাস্তা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইটভাটা তৈরি করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স, বিএসটিআই এর সনদ, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসক প্রদত্ত লাইসেন্স, কৃষি অধিদপ্তরের প্রত্যয়নপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করতে হয়।

কিন্তু উপজেলার ১০টির অধিক ইটভাটারই লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র নেই। স্থানীয় মিম ব্রিকস এর মালিক আব্দুল মালেক সেখ বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে কৃষি ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সব বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ আলী জানান, এই উপজেলায় ১৫টি ইটভাটা রয়েছে এর মধ্যে তাঁতীবন্দ ইউনিয়নে ৩টি, আহম্মদপুর ৩টি, দুলাইতে ২টি, সাতবাড়িয়ায় ১টি, নাজিরগঞ্জে ২ টি এবং মানিকহাটে ৩ টি ও সুজানগর পৌরসভার মানিকদীরে রয়েছে ১টি। বর্তমানে পৌরসভার ১টি ভাটা বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে ১৪টি।

আর এসকল ভাটার মধ্যে যাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে,সে সকল ভাটা মালিক প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা ভ্যাট দিচ্ছে সরকারকে। অথচ অবৈধভাবে গড়ে উঠা ভাটাগুলো থেকে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার ময়নুল হক সরকার জানান, উপজেলায় যে কৃষি জমি রয়েছে সে সকল জমির বেশিরভাগই দুই বা তিন ফসলি জমি, আর এ ধরনের জমিতে ইটভাটা করার কোন নিয়ম নাই। কৃষি জমিতে এ ধরনের ইটভাটা করায় পাট, পেঁয়াজ, ধান ও গমের উৎপাদন কমেছে কয়েক হাজার মণ। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রওশন আলী বলেন, যেসকল ইটভাটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই তদন্ত করে সেই সকল ইট ভাটার বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

 

Powered by