সিলেট

সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগরে সর্দি জ্বরের প্রকোপ; স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ

  প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২১ , ৬:৩৮:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে সর্দি-কাশির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসতি মধ্যনগরে। এই অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য কোনো এমবিবিএস ডাক্তার না থাকার কারণে মানুষজন সাধারণ রোগীদের নিয়ে জোকছেন পল্লীনচিকিৎসকদের কাছে।এই অঞ্চলের মানুষের জন্য ডিসপেনসারি অথবা গ্রাম্য চিকিৎসক একমাত্র ভরসা।প্রায় শতবর্ষ পুরাতন বাজারটিতে জমজমাট ব্যবসা বাণিজ্য চলে সপ্তাহের প্রতিদিন। তবে হাট বসে প্রতি শনিবার। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে হাটে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এই এলাকার মানুষ। এখানে কোন সরকারি এম বি বি এস ডাক্তার নেই যার ফলে স্থানীয় ডিসপেন্সারী ও পল্লী চিকিৎসক এখানকার মানুষের একমাত্র ভরসা।

আর এই দিকে সরকারের চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা তোয়াক্কা করে চলছে জমজমাট লোকসমাগম। ।মধ্যনগর বাজারটি সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি হওয়ার কারনে সীমান্ত অঞ্চলের মানুষজন এই বাজারের উপর দিয়ে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। যার ফলে দিনকে দিন স্বাস্থ্য ঝুঁকির পরিমাণ বেড়েই চলেছে মধ্যনগরে। সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিনচোরাই পথে চোরাকারবারীরা আসা যাওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকার জনগণের মধ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন ভারতীয় ভেরিয়েন্ট এ অঞ্চলের ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিনের মতো আজ হাট বারে মধ্যনগর বাজার একই অবস্থা, কারো মুখে মাস্ক নেই, সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই, পাশাপাশি গাদাগাদি করে চলছে কেনাবেচা।
বাজারে ওষুধের দোকান গুলোতে মানুষের ভিড় খোঁজ নিয়ে জানা যায় অধিকাংশ রোগী জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুকছে। এখানে নেই কোনো এমবিবিএস ডাক্তার । যার ফলে পল্লী চিকিৎসকদের দ্বারা নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। মধ্যনগর থানার বিভিন্ন বাজারের চায়ের দোকান গুলোতে চলছে গরম গরম চায়ের আড্ডা।কোনো জায়গাতেই স্বাস্থ্যবিধির ধারে কাছে নেই সাধারন মানুষ।যারফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

মধ্যনগর বাজারের ফেরিঘাট, ট্রলার ঘাট,মাছ মহালে, কাঁচাবাজারে চলছে অবাধ চলাফেরা।
ডিএসকের প্রাক্তন মেডিকেল উপসহকারী চিকিৎসক সুজিত রায় বলেন, আমরা প্রতিদিন প্রচুর জ্বর সর্দি-কাশিতে ভোগে এমন রোগী পাচ্ছি।যাদেরকে করোনার লক্ষণ পাচ্ছি।তাদেরকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আজকের হাট বারকে সামনে রেখে গতকাল মধ্যনগর বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে জনসচেতনামূলক মাইকিং করা হয়েছে । ইতিমধ্যে সরকারের নির্দেশনা আসছে তো আমরা আগামীকাল থেকে এ ব্যাপারে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

মধ্যনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নির্মল চন্দ্র দেব বলেন, আমরা প্রতিদিনই স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। জনগণের মধ্যে তেমন সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে সরকারি নির্দেশনা প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তীতে কঠোর বিধি নিষেধের ব্যবস্থা গ্ৰহন করা হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by