প্রতিনিধি ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ৬:৩১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
রোববার (২৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে থেকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এরপর তাকে করোনা টেস্ট করার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে সমাজসেবা অধিদফতরের মিরপুরের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এর আগে ফেসবুকে ভাইরাল পথশিশু মারুফকে বৃহস্পতিবার থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। শিশুটির অবস্থান সম্পর্কে তার সঙ্গী পথশিশুরাও কিছু বলতে পারেনি। আলোচিত পথশিশু মারুফের খোঁজ পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমে শিশুটির নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তার সন্ধান দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহমর্মিতা ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা পারভেজ হাসান।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে পারভেজ হাসান পথশিশু মারুফের সঙ্গে তার বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুক পোস্ট করেছেন।
পারভেজ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী ভাই-বোনেরা। আপনারা যারা পথশিশু মারুফ নিখোঁজ এমন সংবাদ ছাপাচ্ছেন। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- মারুফ নিখোঁজ না। ও দিনের বেলায় স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে না। সে কারণে যেখানে-সেখানে পড়ে থাকে। সে আগে যেমন ছিল তেমনি আছে। সাহরির আগেও আমরা মারুফকে দেখতে গেলাম। গিয়ে আগের মতোই অস্বাভাবিক অবস্থায় পেয়েছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি তাকে কাউন্সিলিং করে কিভাবে সুন্দর জীবনে ফেরানো যায়। এই জন্য আমাদের সময় লাগবে। কারণ মানসিকভাবে সে সুস্থ না। আমাদের প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। তারা আমাদের সম্পর্কে সব তথ্য রেখেছে। আমাদের সম্পর্কে প্রশাসন খোঁজ নিবে। তারপর তারা বিবেচনা করবে মারুফকে আমাদের হাতে তুলে দিবে কিনা। আমরা আমাদের চেষ্টার ত্রুটি রাখছি না। তাকে সুন্দর জীবনে ফেরাতে। শুধু মারুফ নয়, মারুফের পাশাপাশি আশেপাশে যে কজন পথশিশু এমন বিপদগ্রস্ত, আমরা তাদেরও সুন্দর লাইফে ফেরাতে উদ্যোগ নিব ধীরে ধীরে।’
রাজধানীর জর্জকোর্ট এলাকায় একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের লাইভ চলাকালীন হঠাৎ ক্যামেরার ফ্রেমে ঢুকে লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাতারাতি আলোচনায় আসে পথশিশু মারুফ। সে থাকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক ও জর্জকোর্ট এলাকায়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) থেকে মারুফকে বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় পাওয়া যাচ্ছিল না। সে কোথায় আছে তা কেউ বলতে পারছে না।
এর আগে, বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শিশুটির খোঁজে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তখন জানা যায়, রাত ৩টার দিকে একটি সাদা গাড়িতে কয়েকজন লোক এসে তাকে পাঁচশ টাকা ও জামা কাপড় দেবে বলে গাড়িতে করে রায়ের সাহেব বাজারের দিকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, আমরাও শিশুটিকে খুঁজছি।
এর আগে, সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সময়ের কণ্ঠস্বর নামে একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের প্রধান প্রতিবেদক পলাশ মল্লিক ফেসবুকে লাইভ করার সময় ক্যামেরার ফ্রেমে ঢুকে পড়ে পথশিশু মারুফ। সে বলে, ‘আচ্ছা, এই যে লকডাউন দিয়েছে, সামনে ঈদ, মানুষ খাবে কী? মাননীয় মন্ত্রী যে লকডাউন দিয়েছে এটা একটা ভুয়া। থ্যাংক ইউ!’