বরিশাল

স্বরূপকাঠিতে জমি নিয়ে বিরোধ: সংঘর্ষের আশংকা

  প্রতিনিধি ১ জুন ২০২১ , ৭:৫৫:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বিরোধীয় জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনায় ওই এলাকায় যে কোন সময় সংঘর্ষের আশংঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, স্বরূপকাঠি পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের মাগুরা গ্রামের তৈয়ব আলী গংদের কাছ থেকে ওই এলাকার ব্যবসায়ী জাহিদ সিকদার ৩৪ শতাংশ ও সৌদি প্রবাসী এমাম হোসেন ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমির বন্টন না হওয়ায় ভোগদখল নিয়ে ক্রেতা জাহিদ সিকদারের সাথে এমামের বিরোধ দেখা দেয়।

এক পর্যায়ে জাহিদ এ নিয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং বিষয়টা মিমাংশার জন্য পৌর মেয়র গোলাম কবিরের দারস্থ হয়। মেয়র সমাধানকল্পে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সহ দুই পক্ষকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন।

বৈঠক চলাবস্থায় এমাম বিদেশে চলে গেলে বিষয়টি অমিমাংশিত থেকে যায়। কয়েকদিন পূর্বে জমি বিক্রেতা তৈয়ব আলী ওই জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিলে দেখা দেয় ক্রেতা দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা। এ ব্যাপারে প্রবাসী এমামের বোন রাবেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার ভাই তৈয়ব আলী গংদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে সেখানে একটি দোকন ঘর ও গাছপালা লাগিয়েছেন। তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে জাহিদ সিকদার কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে তার ভাইয়ের জমি দখল করেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে জাহিদ সিকদার বলেন, আমি কেন ওই জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে যাব বেড়াতো জমিদাতা তৈয়ব আলী দিয়েছেন। জমি দখল আমি করিনি বরং আমার জমির সীমানা পিলার এমাম ভেঙ্গে ফেলায় আমি তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পরে জমিদাতা তৈয়ব আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এবং আমার ছোট দুই ভাই আইয়ুব আলী এবং ইয়াকুব আলী আমাদের জমির ৩৪ শতাংশ জাহিদ সিকদারের কাছে এবং ১৪ শতাংশ এমামের কাছে বিক্রি করেছি। জমি কাউকে বুজিয়ে দেয়ার আগেই এমাম তার ইচ্ছামত জমিতে পুকুর কাটা, দোকান ঘর তোলা ও গাছপালা লাগিয়েছেন। যেহেতু ওই জমি বিক্রির পরে এখনও আমাদের কিছু জমি সেখানে অবশিষ্ট রয়েছে তাই আমি ওই জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, জাহিদ সিকদারের কাছ থেকে সীমানা পিলার ভাঙ্গার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র গোলাম কবির বলেন, বিষয়টি মিমাংসার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সহ দুই পক্ষকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছি। এমাম এলাকায় না থাকায় সমাধানে কিছুটা বিলম্ব হলেও আশা করি দ্রুতই বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান করতে পারব।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by