চট্টগ্রাম

স্বর্ণ ডাকাতি মামলার ওসি সাইফুলের সহযোগী ভুট্টু আটক, আদালতে স্বীকারোক্তি 

  প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২১ , ৬:৫৮:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীতে ডিবি পুলিশের স্বর্ণ ডাকাতির ও ছিনতাইয়ের চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও ঘোপালের পার্টনার ছমীদুল হক ভুট্টু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় ফেনীর সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে ছমীদুল হক ভুট্টু জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
 ফেনী পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। পিবিআই’র পুলিশ সুপার আরো জানান, ব্যবসায়ীক দ্বন্দ ও গোপালের ক্ষতি করতে ভুট্টু ফেনী ডিবি পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। তার তথ্য অনুযায়ী ডিবি পুলিশ গোপালকে ২০টি স্বর্ণের বার সহ ফেনীর ফতেহপুরে আটক করে। মোঃ সাইফুল ইসলাম ভুইয়ার রিমান্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে তার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে অনেকগুলো তথ্য আদায় করা হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে তিনি তা প্রদান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। স্বর্ণবার ডাকাতি মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মনির হোসেন জানান, গোয়েন্দা পুলিশের স্বর্ণবার ডাকাতির মামলার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছমদুল হক ভুট্টুকে শনিবার দুপুরে কেওএসসি রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাকে ফেনী মডেল থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রোববার তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া পিবিআই ইন্সপেক্টর মোঃ শাহ আলম  সন্ধ্যায় ভুট্টুকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। পিবিআই’র পুলিশ সুপার জানান, ছমীদুল হক ভুট্টু তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন- চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস এক সময়ে তার ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলো। গোপাল  সবর্ণবার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন এমন তথ্যটি ডিবি পুলিশকে জানিয়েছিলেন।
তার দেওয়া তথ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের গাড়ি আটক করে ডিবি পুলিশ। সে সময়ে গাড়ি তল্লাশি করে ২০টি স্বর্ণবার পেলে ডিবি পুলিশ  তা নিয়ে যায়।এদিকে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতি ও লুটের মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে রবিবার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত শুরু করেন পিবিআই’র পরিদর্শক শাহ আলম। তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই’কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গ্রেফতারকৃত ছয় পুলিশ কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের হেফাজতে রয়েছে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন ফেনী মডেল থানায় মামলাটি ভালোভাবে তদন্ত করার জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান।ভুট্টুর গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার দক্ষিণ ধুরং গ্রামে। মামলার বাদী গোপাল কান্তির বাড়ি চকরিয়াতে। তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরের হাজারী লেনের ইকুইটি কোহিনূর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়  ‘আলো জুয়েলার্স’ নামে একটি স্বর্ণের দোকান পরিচালনা করছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by