দেশজুড়ে

স্বাধীনতা যুদ্ধে মাইন বিস্ফোরণে পা হারানো সীতাকুণ্ডের রোকেয়া বেগম চরম দুরবস্থায়

  প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২১ , ৯:১৮:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম):

স্বাধীনতা যুদ্ধে মাইন বিস্ফোরণে পা হারানো সীতাকুণ্ড উপজেলার মাদামবিবির হাটের রোকেয়া বেগম চরম দুরবস্থার মধ্যেদিন দিন পার করছেন।

নেই তার কোন ভিটে মাটি, নেই নিজের কোন ঘর। পরের ঘরে ভাড়া দিয়ে অতিকষ্টে কাটছে তার জীবন।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুজিব শতবর্ষ পালন করছে সরকার।

বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতির পিতার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভূমি ও গৃহহীন আট লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি পরিবারকে ঘর ও জমি দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু ভাগ্যোর নির্মম পরিহাস যুদ্ধে মাইন বিস্ফোরণে পা হারানো রোকেয়ার ভাগ্যে জুটেনী খাস জায়গা কিংবা একটি ঘর। ১৯৭১ সনের ডিসেম্বর মাস। মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

এলাকায় পাক সেনাদের অবস্থান সর্বত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। সীতাকুন্ড থানার জাহানাবাদ গ্রামের অধিবাসীরা নিরাপত্তার জন্য পাহাড়ে দলে দলে ছুটে চলছে।

তেমনি রোকেয়া নামের ৭ বছরের এক বালিকা স্বজনদের সাথে পাহাড়ে আশ্রয়ের জন্য বেরিয়েছে। সে দিন ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার। বেলা প্রায় ১২ টা।

হামিদুর রহমান মুন্সির বাড়ির সামনের গ্রাম্য রাস্তায় পাক বাহিনীর পুতে রাখা মাইনে রোকেয়ার পা পরতেই উড়ে যায় তার বাম পা। রোকেয়ার নিজস্ব কোন বাড়ি ভিটা নেই ১৯৯১ ইং সনের ঘূর্নিঝড় ও জলোচ্ছাসে রোকেয়ার বাড়ী ঘর পানিতে ভেসে যায়।

 মাদাম বিবির হাট কনফিডেন্স সিমেন্ট কারখানার পশ্চিমে ইছামতি খালের পাড়ে অন্য জনের ভূমিতে কুড়ে ঘরে বাস করছেন। এ যাবত তিনি কোন সরকারী সাহায্য সহযোগীতা পাননি। তবে ৬ মাসে মাত্র ১৮শ টাকা করে বিধবা ভাতা পাচ্ছেন।

অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও সরকারী কর্মকর্তারা রোকেয়াকে শুধু আশ্বাসই দিয়েছে। বর্তমানে তার ডান পাও অবস হয়ে গেছে।

দারিদ্র, নিঃস্ব, বাস্তহারা, পঙ্গুত্ব ও রোগাক্রান্ত তাকে দিন দিন অসহনীয় করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে একটি  ঘরের আশায় আছেন তিনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by