দেশজুড়ে

হাসপাতালে কিশোরী ধর্ষণ : তদন্তে মিলেছে ওয়ার্ড বয়ের নাম

  প্রতিনিধি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১:৩৬:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ অনলাইন:

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়কে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর জ্বর ও শরীরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের তিন তলায় নারী ওয়ার্ডে ভর্তি হয় ওই কিশোরী (১৬)। সে ধীরে ধীরে অনেকটাই সুষ্ঠ হয়ে ওঠে। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্ব ছিলেন ওয়ার্ড বয় মাজিদুল। ওই রাতে হাসপাতালের শয্যায় ঘুমিয়ে পড়েন কিশোরীর মা। কিন্তু কিশোরী জেগে ছিল। এ সময় মাজিদুল ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে হাসপাতালের নিচ তলায় নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের একটি কক্ষে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে বারান্দায় ফেলে তিনি পালিয়ে যান। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে রাতেই কিশোরীকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে কিশোরীর ভর্তি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকালে ১৬ বছরের কিশোরীকে হাসপাতালের পাঁচতলার নারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই কিশোরীর শারীরিক সমস্যার কারণে স্পর্শকাতর স্থানে সেলাই দেয়া হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। প্রথমদিকে এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এক সপ্তাহ পর ঘটনা জানাজানি হওয়ায় গত শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাটুরিয়া হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সাদিককে কমিটির প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ড বয় মাজিদুলকে বাঁচানোর জন্য বিয়ের নাটক সাজিয়ে ৯ দিন সময় পার করেছে গোপনে। কিন্তু স্থানীয়দের চাপে অবশেষে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ওসি মো. মতিয়ার মিঞা বলেন, মেয়েটি বা তার পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। মা ও মেয়েকে থানায় আনা হলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে তারা জানান। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by