প্রতিনিধি ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৭:০০:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অপরাজিত নেত্রী বেগম খালেদা। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৯১ সালে ৫টি আসনে, ১৯৯৬ সালে ৫টি আসনে এবং ২০০৮ সালে ৩টি আসনে নির্বাচন করেছিলেন। প্রত্যেকটি আসনেই বেগম খালেদা জিয়া বিপুল সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অথচ সেই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অপরাজিত ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ২ কোটি টাকা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় দুই বছর কারাবদ্ধ করে রেখেছিলো, অমানবিক অত্যাচারের পরেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ছেড়ে ও তাঁর প্রিয় জনসাধারণকে ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি নেত্রী বেগম খালেদা। অথচ বিগত আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সরকারে থেকে এদেশের জনগণের ২৮ লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। জনগণের ভোট লুট করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। অবৈধভাবে সরকারে থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, ছাত্র-জনতার ওপরে গুলি চালিয়ে করেছেন গণহত্যা। ওই ফ্যাসিবাদ খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের একদিন এই বাংলাতেই বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪ টায়, কাশিয়ানীর রাজপাট কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ৯নং রাজপাট ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
বর্ধিত এ সভায়, কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও শেখ মো. সেলিমের সঞ্চালনায়, জেলা বিএনপির সদস্য এ্যাড. এম এ আলম সেলিম, মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম খান, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাজু, কাশিয়ানী বিএনপির সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান নান্নু, মো শফিকুল ইসলাম শফিক, সানজিদা হান্নান রাহেলা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিরো মৃধা, রাজপাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, যুবদলের আহবায়ক মুন্সী এনামুল হক শিমুল, সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম পাবেল, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মতিউর রহমান রনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মিলন খান, ছাত্র দলের সভাপতি আমিনুর ইসলাম সোহেল, সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন সিকদার অপু বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাসানুজ্জামান মিল্টন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান জায়দার, মোঃ ইয়াকুব হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শহীদ আলম মুন্না, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ফায়েকুজ্জামান লিটু, বিএনপি নেতা কমলেশ, লাল চাঁন ফকির, বিএল শরিফ, আলম মোল্লা সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় রাজপাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিন্ন ভিন্ন মিছিল নিয়ে বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ করেন। বিএনপির ওই বর্ধিত সভা জনতার ঢলে জনসভায় রুপান্তরিত হয়।