চট্টগ্রাম

অবরোধে কর্ণফুলীর সাম্পান যাত্রীদের দুর্ভোগ

  প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২৪ , ৫:৩৪:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

অবরোধে কর্ণফুলীর সাম্পান যাত্রীদের দুর্ভোগ

বংশ পরম্পরাই জন্মগত পেশাদার পাটনিজীবী (সাম্পান মাঝি) সমিতি গুলোকে চসিকের সদরঘাট, অভয়মিত্রঘাট ও বাংলাবাজার নৌ ঘাট তিনটি না দিয়ে বহিরাগতদের খাস আদায়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিবাদে কর্ণফুলী নদীর ১০ঘাটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বৈঠা বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের অন্তর্ভূক্ত একাধিক সংগঠন।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর এসব ঘাটে সাম্পান চলাচল বন্ধ রেখে প্রতিবাদক করছে ১২ শতাধিক সাম্পান মাঝি। এতে নতুনব্রিজঘাট, তোতারবাপের হাট, বিডব্লিউ ঘাট, দক্ষিণপাড় পুরাতন ব্রিজঘাট, সদরঘাট, অভয়মিত্র, কর্ণফুলী ঘাট, বাংলা বাজার ঘাট, সল্টগোলা ঘাটে (পাটনিজীবী নাই) ইঞ্জিনচালিত সাম্পান চলাচল বন্ধ দেখা যায়। তবে জরুরী রোগী সেবা ও খাদ্যদ্রব্যের পারাপারে মানবিকতা দেখাচ্ছেন মাঝিরা। নদীর অন্যান্য ঘাটে যাত্রী পারাপার চলছে।

কর্ণফুলীর নৌঘাট থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন ও ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সভাপতি এসএম পেয়ার আলী ও চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল হোসেন।

নৌ ঘাটে উপস্থিত সাম্পান মাঝিরা জানান, ২০০৩ সালের পাটনিজীবী নীতিমালা তোয়াক্কা না করে একের পর এক অবৈধভাবে মাঝিদের ঘাট ছাড়া করছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এতে দেয়ালে মাঝিমাল্লাদের পিট ঠেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়েছে বৈঠা বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করতে।

অপরদিকে, বিগত ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পেশাদার জন্মগত পাটনিজীবী সমিতিকে নৌ ঘাটগুলো ইজারা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু চসিকের প্রধান রাজস্ব নির্দেশনাটিও মানছেন না বলে মাঝিদের দাবি।

উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর চসিকের প্রধানরাজস্ব কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে অভয়মিত্র ঘাটের খাস কালেকশনের জন্য চসিক এস্টেট শাখার বাজার পরিদর্শক দূর্বাদল চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ কাজে লোকবল, যাত্রী পারাপারে নৌকা, সাম্পান সরবরাহ-সহ অন্যান্য সহযোগিতার জন্য ২১ অক্টোবর থেকে আবু নাসের সাজ্জাদ ও আব্দুল কাদের ফিরোজ নামে দু’ব্যক্তিকে নিয়োজিত করেন। যারা ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড বিএনপি নেতা। এতেই ক্ষেপে গিয়ে বৈঠা বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দেন কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন।