প্রতিনিধি ১৪ মে ২০২৪ , ৮:১২:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
আইডিইবি’র যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে গোপালগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির প্রয়াসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি (পাস) সমান মর্যাদা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের প্রেক্ষিতে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের যুক্তিহীন বিরোধিতা ও বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে আইডিইবি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আইডিইবি’র কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মতে মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আইডিইবি গোপালগঞ্জ জেলা শাখা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আইডিইবি গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম খান। এসময় আইডিইবি গোপালগঞ্জ জেলা শাখার অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আতিয়ার রসুল (হিমেল), সদস্য মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, রেফাতুল ইসলাম, তন্ময় গোলদার, সাজ্জাদুল ইসলাম, মো. হাফিজ হোসেন, মো. আমিরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশ একটি সুবর্ণ সময় পার করছে। প্রতি একশত বছরে কোন দেশ একবার এই সুযোগ লাভের সুযোগ পায়। আর তা হলো কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা। বাংলাদেশে বর্তমানে নির্ভরশীল জনসংখ্যার তুলনায় কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। এই সুবিধা ২০৩৫– ২০৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পাবে। ২০৩৫–৩৮ সময়কালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জনগোষ্ঠী হবে কর্মক্ষম এবং নির্ভরশীল জনসংখ্যা হবে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশ সরকার সেই কালের ধনী বুঝতে পেরেই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লোককে সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় আকৃষ্ট করে তাদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেওয়ার লক্ষ্যে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১০০ নম্বরের একটি করে কারিগরি বিষয় বাধ্যতামূলক করে শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে সকল মাধ্যমিক ও দাখিল মাদ্রাসায় নবম– দশম শ্রেণীতে ন্যূনতম দুইটি করে টেকনোলজিতে এসএসসি (ভোক) কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কারিগরি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া কারিগরি শিক্ষার মর্যাদা বৃদ্ধি ও আগ্রহ সৃষ্টির এক মহৎ উদ্দেশ্য সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে শিক্ষা মন্ত্রীর প্রয়াসকে সফল করার উদ্দেশ্যে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) করছে সমমানের মর্যাদা প্রদান করার বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ দেওয়ার জন্য ১০ স্বদেশের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছেন। যা ১৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমরা মনে করি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) সমমানের মর্যাদা প্রদান করা হলে আরো ভালো পেশাদার সুযোগে রূপান্তরিত হবে।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে সরকার প্রধানের স্মার্ট ও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রশিক্ষিত দক্ষ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ বিভিন্ন সেক্টরে অবকাঠামো উন্নয়ন, উৎপাদন ও শিল্প বিকাশ, পানি সম্পদ ও স্যানিটেশন, টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোগ, নীতি উন্নয়নসহ প্রকৌশল সমাধানে উদ্ভাবন এবং ব্যবহারিক প্রয়োগে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
মোটকথা বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান অস্বীকার করা বা অপেক্ষা করা যায় না। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মতে আগামী ২৯ মে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পরে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।