প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৪:৫৫:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
সংগঠনটির সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আল–জাজিরার প্রতিবেদনটি সম্পাদকদের বৃহত্তম সংগঠন এডিটরস গিল্ডের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পুরো বিষয় একটি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, অথচ শিরোনাম করা হয়েছে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত বিশেষ কিছু অভিযোগের বয়ান দিতে গিয়ে প্রমাণহীনভাবে ‘প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ টার্মটা ব্যবহার করা মন্দ সাংবাদিকতা।
এডিটরস গিল্ড মনে করে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নির্মিত ও পক্ষপাতদুষ্ট একটি তথ্যচিত্র কোনোভাবেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত হতে পারে না। পুরো তথ্যচিত্রের ভিত্তি হলো একজন মানুষের কিছু অনানুষ্ঠানিক ও আড্ডার আলাপ, যার কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ এতে উপস্থাপিত হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাঙ্গেরি ও ফ্রান্সে মিলিয়ন মিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ তথ্যচিত্রে। কিন্তু এর কোনো উৎস দেখানো হয়নি। কেবল মুখের কথাতেই বলা হয়েছে সরকারের কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বিরাট অর্থ লেনদেনের কথা। এসব অভিযোগের সমর্থনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কোনো প্রশাসনিক বক্তব্যও আল-জাজিরা দেয়নি। সামিকে ‘জীবননাশের হুমকি’ দেওয়া ইমেইলের অরিজিনাল পেজ ছিল না। ফলে এর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এই তথ্যচিত্রে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এডিটর গিল্ড। তারা মনে করেন, হাঙ্গেরি, ফ্রান্স বা মালয়েশিয়ার বিচরণকারী হিসেবে যাদের দেখানো হয়েছে এবং তাদের পাসপোর্ট জালিয়াতি, অন্য কাগজ জালিয়াতি, অর্থ পাচার, ইত্যাদি অপরাধের যে বর্ণনা রয়েছে, এসব বিষয়ে সেসব দেশের সরকারের দিক থেকে কারও কোনো বক্তব্য না ছিল না। পুরোটা সময় গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও দেখানো হয়েছে। এটি একটি মানসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম করতে পারে না। যাদের বিরুদ্ধে এত কিছু, তাদের বক্তব্য না থাকায় এটি সম্পূর্ণ সাংবাদিকতা পরিপন্থী কাজ হয়েছে। দীর্ঘ দুই বছরের অনুসন্ধানের পর ‘তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি’ বলাটা অগ্রহণযোগ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিটরস গিল্ড যৌক্তিক প্রমাণ দিয়ে সাংবাদিকতার স্বার্থে যেকোনো সংবাদ বা অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানায়। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো কিছু প্রচার হলে তা প্রকারান্তরে গণতন্ত্র ও সাংবাদিকতা উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে।