প্রতিনিধি ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭:৫৫:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় স্ট্যান্ডে চাঁদার দাবীতে লোড-আনলোড শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১৩ শ্রমিক। পরে আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে আশুলিয়া থানার এসআই মো: আনোয়ার হোসেন হামলা ও আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আশুলিয়ার বলিভদ্র বাজার বাসস্যান্ডে এই হামলার এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, লোডা-আনলোড শ্রমিক সফিকুর রহমান (৫২), ইসমাঈল শেখ (৪৭), নূরুল ইসলাম (৪০) নাসির, আইয়ুব আলী, শফিক, জুয়েল, রফিক, শরিফ, লালন সরদার, আল আমিন, আলিম এবং আতর আলী। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
কাঁচামালের লোড-আনলোডের লেবার সর্দার বাবুল মিয়া জানান, আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল গফুরের ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে সমির নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মাসে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। এর আগে বেশ কয়েকদিন হামলা চালিয়েছে। লেবাররা সকলেই দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পায়। ভয়ে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। তবে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সমিরের নেতৃত্বে সজল, সোলেমান, রেজাউল সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০ জন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাদের প্রায় ১৩/১৪ জন শ্রমিককে আহত করে এবং এদের মধ্যে ছয় জনকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকী সাত জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসময় হামলাকারীরা শ্রমিকদের বিল বাবদ রাখা প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল গফুর জানান, আমি এই ঘটনা আপনার কাছে শুনলাম। আমি ঢাকায় আছি, এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: শাওন বড়ুয়া জানান, এখানে ছয়জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। কারো পায়ে কোপের দাগ রয়েছে, কারো জয়েন্টে মারাত্মক জখম রয়েছে। চিকিৎসা চলছে। তিন জনের অবস্থা গুরুতর। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, প্রয়োজন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো লাগতে পারে।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, মূলত বলিভদ্র স্ট্যান্ড দখল-বেদখল নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের মারধর করে উঠিয়ে দিয়ে হামলাকারীরা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহতও আছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।