ঢাকা

ইউপি নির্বাচন: রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পুলিশ প্রহরায় গণসংযোগের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ৫:৫১:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান প্রতিনিয়ত পুলিশ প্রহরায় গণসংযোগ করছেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অগ্রণী ভুমিকায় বিদ্রোহী প্রার্থীর নেতাকর্মীরা ভোট ভিক্ষায় মেতে উঠেছেন। অর্থশালী এই প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেই তার গণসংযোগে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে বলে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী অভিযোগ করেন।

গতকাল ৩১অক্টোবর রবিবার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের দেলপাড়া নয়ামাটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা রবি রায়, নওয়াব ভুঁইয়া, মহিউদ্দিন, আবুল হোসেন, মহিবুর রহমান, যুবলীগ নেতা আশিক ইকবাল, মোহাম্মদ মহসিন, কামাল হোসেনস রঞ্জু, আলী মিয়া, শাহদাত হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা নাদিম হোসেন অপু, মহিলালীগ নেত্রী নাজমা বেগম, সুলতানা আক্তার প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পুলিশ প্রহরায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে। নৌকার সমর্থকদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেখাচ্ছে। কালো টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। পূর্বগ্রামে পুলিশের সামনে নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশ প্রহরায় গণসংযোগ অব্যাহত থাকায় মিজানুর রহমানের সমর্থিতরা প্রতিদিন আনন্দ উল্লাস করছে।

পুলিশের এই ভুমিকায় ভোটাররাও প্রভাবিত হচ্ছে। তাতে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা করছে ভোটাররা। গত ২৭ অক্টোবর কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় আওয়ামীলীগের গণসংযোগে বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এঘটনায় অজ্ঞাত তিন শতাধিক মানুষকে আসামি করে এসআই কাজল মজুমদার বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কিন্তু মামলার আসামী ও সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এমনকি আসামিদের গ্রেফতারে কোন অভিযানও চালানো হয়নি। উদ্ধার করা হয়নি হামলায় ব্যবহৃত ফাঁকা গুলিবর্ষণকৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তাতে সন্ত্রাসীরা আবারও হামলা করতে উৎসাহিত হচ্ছে। পুনরায় হামলার ঘটনা ঘটলে প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারবে না
এব্যাপারে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, হামলা, ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে পুলিশের প্রটোকল নিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চলছে। এর বাইরে তিনি কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্ণিং অফিসার মোঃ মাহবুর রহমান বলেন, আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে লিখিত অভিযোগ করলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, পুলিশ প্রহরায় গণসংযোগের অভিযোগটি সত্য নয়। তবে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে টহল পুলিশের আওতায় আনা হয়েছে। সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগকালে যাতে করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা, সহিংসতা, সংঘর্ষ কিংবা হামলার ঘটনা না ঘটতে পারে সেজন্য টহল পুলিশ আশে পাশেই অবস্থান করছে।###

আরও খবর

Sponsered content

Powered by