বাংলাদেশ

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে যেসব নির্দেশনা দিলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২৪ , ৫:২৮:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে যেসব নির্দেশনা দিলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী
সংগৃহীত

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সড়কপথে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর বিআরটিএ ভবনে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঈদের সময় যে নজরদারি থাকে, ঈদের পর তা কমে যায়। তাই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সড়কে তদারকি বাড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘হেলপার যেন ড্রাইভার না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। হেলপার ড্রাইভার হলে তো দুর্ঘটনা হবেই।’

ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত রাখতে ঢাকার প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি নজরদারি ও গাড়ি সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখার কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসা যায় ৩০/৪০ মিনিটে, আর ঢাকায় হানিফ ফ্লাইওভারে দেড়-দুই ঘণ্টা বসে থাকতে হয় । গাড়ির চাপে স্থবির হয়ে থাকে হানিফ ফ্লাইওভার। নিচের দিকের কিছু কারণে এই সমস্যাটা।’ জাতীয় স্বার্থেই এই সমস্যার সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে বাস মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া দিতে গিয়ে অনেক সাধারণ যাত্রীর কাছে অর্থ থাকে না। জনগণের স্বার্থে বাস মালিকদের অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধে কঠোরভাবে মনিটরং করার অনুরোধ করছি। বিআরটিসি’ও এই কাজটা করে।’

ঈদুল আজহায় সড়কে সড়কে পশুবাহী গাড়ির চাপ থাকে— যা রোজার ঈদে থাকে না। পশুবাহী গাড়ি ও পশুরহাট নিয়ে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে জানান মন্ত্রী।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঈদযাত্রা সহজ করার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদযাত্রায় বিশেষ করে সমস্যা দেখা দেয় গার্মেন্টসের ছুটির দিনে। বিশেষত চন্দ্রায়। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় হাটতে থাকে। গাড়ি প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকে। সেখানে বিআরটিসির গাড়ি রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়ার একটা অস্থিরতা থাকে। সেটা সামাল দিতে হবে প্রয়োজনীয় গাড়ি সরবরাহ করে।’

রঙ এর চেয়ে ফিটনেসের প্রতি বেশ মনযোগী হতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,  ‘জীর্ণশীর্ণ চেহারার কতগুলো গাড়ি যেমন মালঞ্চ— প্রতিদিনই দেখি তাকানো যায় না। বাংলাদেশ এত এগিয়ে গেলেঅ আর বাস মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গি এত নিচে নেমে গেলো! পরিস্থিতির তেমন উন্নয়ন হয়নি। রাস্তায় এত ভিজিট করার পরও।’

ঈদের সময় ঢাকা শহরে খোড়াখুড়ি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের  বলেন, ‘বৃষ্টির সময় খোড়াখুড়িতে শহরে যানজট সৃষ্টি হয়। নির্মীয়মান রাস্তার কাজ অন্তত সাত দিন বন্ধ রাখতে হবে। সিএনজি স্টেশন ঈদের আগে ৭ দিন এবং পরে ৫ দিন সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে হবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন— সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেনসহ সড়ক পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা।

আরও খবর

Sponsered content