প্রতিনিধি ৩ আগস্ট ২০২৪ , ৪:৫৬:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর উত্তরায় বিএনএস সেন্টারের পাশের রাস্তায় ও অলি-গলিতে ঝটিকা মিছিল করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করতেও দেখা যায়। তাদের সঙ্গে উত্তরা এলাকার বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও রয়েছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) সাড়ে ৩টার দিকে বিএনএস সেন্টারের সামনে ও আশেপাশে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় পুলিশের দুটি দল বিএনএস সেন্টারের নিচে অবস্থান করে।
বিএনএস সেন্টারের পেছনের গলিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করতে থাকেন। এ সময় ছিল– ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি), বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি), শান্তা মরিয়ম, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, মানারাত ইউনিভার্সিটি, রাজউক কলেজ, উত্তরা হাই স্কুল, মাইলস্টোন কলেজ, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন স্কুল, ট্রাস্ট কলেজসহ আশেপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ছিলেন। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে ফুটপাতে অবস্থান নেন।
বিএনএস সেন্টারের পেছনে দাঁড়ানো উত্তরা ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা আজ এখানে এসেছি। আমরা নির্দিষ্ট সময়ে দাঁড়াতে পারিনি, বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীরা আসতে পারেনি। তবে অন্যান্য জায়গায় ঠিক সময়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আমাদের কর্মসূচি ছিল বিএনএস সেন্টারের সামনে। কিন্তু সেখানে পুলিশের উপস্থিতির কারণে আমরা আর সেখানে যাইনি।
ঝটিকা মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দাঁড়ানো আফতাব আহমেদ নামে এক অভিভাবক বলেন, আজ আমি এখানে আমার সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য এসেছি। আমরা কোনও সংঘর্ষ চাই না, শান্তি চাই। আমরা দেখেছি বাসায় থাকলেও মানুষ মরে সড়কে নামলেও মানুষ মরে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি। পুলিশ যদি আমার সন্তানদের ওপর গুলি চালায় তাহলে আমরা পালাবো না আমরা প্রতিরোধ করবো।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ৯ দফা দাবি এখন এক দফা দাবিতে পরিণত হয়েছে। সেটা হলো সরকারের পদত্যাগ। এটা শুধু শিক্ষার্থীদের দাবি না, এটা এখন গণমানুষের দাবি।
উত্তরার বিএনএস সেন্টারের পাশে ঝটিকা মিছিল শেষে সমন্বয়কদের এক নির্দেশনায় তারা স্থান ত্যাগ করে বিভিন্ন জায়গায় চলে যান। আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী জানান, মাত্র নির্দেশনা এসেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার। আমরা এখন সেখানে যাবো। তবে এখানেও আমাদের শিক্ষার্থীরা অবস্থান করবে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির বিপরীতেই বিএনএস সেন্টারের সম্মুখে ও আশেপাশের এলাকায় পুলিশকে সর্তক অবস্থানে দেখা গেছে। প্রতি পয়েন্টে ৩০-৪০ করে পুলিশ দাঁড়ানো। এছাড়াও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঙ্গে রাখা হয়েছে আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি)। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়।