রংপুর

উলিপুরে ২০ মণ ওজনের শাহী বাজারে নজর কাড়বে সবার

  প্রতিনিধি ১০ জুন ২০২৪ , ৩:৪১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

উলিপুরে ২০ মণ ওজনের শাহী বাজারে নজর কাড়বে সবার

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাজারে নজর কেড়ে নিতে আসছেন শাহী নামের এক গরু। ভালোবেসে গরুটির নাম রাখা হয়েছে শাহী। ২০ মণ ওজনের শাহী আড়াই বছর ধরে গোয়াল ঘরে বড় হয়েছে প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে। রাজপুত্রের মত দেখতে শাহী নামের গরুটি উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি স্থানীয়দের।

গরুটি দেখতে এখন ভিড় করছেন দর্শনার্থী ও ক্রেতারা। এলাকাজুড়ে বেশ আলোড়নও তৈরি হয়েছে। শাহী নজর কাড়ছে সবার।সরেজমিন উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের মিঠা আমের তল লাঠির খামার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শাহীর সেবায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মালিক মুকুল মিয়া।

জানা যায়, এবারে উপজেলার হাট কাঁপাবে এই সাহি। ১২ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতার গরুটি শান্ত স্বভাবের। প্রতিদিন তিন বেলা খাবার লাগে প্রায় ১৪ কেজি। এরমধ্যে খড়, খৈল, ঘাস ও ভুসি সাহির পছন্দের খাবার। এমন দৃশ্য দেখতে এসে মুগ্ধতাও বাড়াচ্ছে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের।

উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের লাঠির খামার এলাকার মুকুল মিয়ার গোয়াল ঘরে বড় হওয়া শাহী নামের গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। নিজ উপজেলার কেউ কিনে নিয়ে গরুটিকে কোরবানি দেবে বলেও প্রত্যাশা মুকুল মিয়ার।স্থানীয় পাইকার শাহীকে কিনতে আসা রানু মিয়া বলেন, গরুটি দেখে ভালোই লেগেছে। শাহীর মালিকের সাথে শাহীকে ক্রয়ের বিষয় দর কষাকষি করে আসবো।

আমার চাহিদা মতো দামে বিক্রি করলে শাহীকে কিনে নিয়ে যাবো।রহমান মিয়া নামে এক দর্শনার্থী বলেন, লোকমুখে শুনে গরুটি দেখতে এসেছি। এসে দেখে অনেক মানুষ এসেছে সাহিকে দেখতে। সত্যিই রাজপুত্রের মতো দেখতে শাহী। যারা লালনপালন করেছে, তারা যেন ন্যায্য দাম পায় সেই প্রত্যাশাই করি।

এছাড়াও দেখতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে খালেক মিয়া, সাহেব আলী, রানু, ফরিদুল ইসলাম সহ আরও অনেকে বলেন, আমাদের এলাকায় শাহীর মত বিশাল দেহের অধিকারী কখনো দেখিনি। শাহীকে দেখতে অনেক ভালো লাগে। তারা আশা করেন শাহীর মালিক কাঙ্ক্ষিত দাম পাবেন।

এ বিষয়ে মুকুল মিয়ার বড়ভাই মোস্তফা মিয়া বলেন, সম্পূর্ণ দানাদার খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালনপালন করা হয়েছে। পরিশ্রম অনুযায়ী শাহীর দাম আশা করছি। ক্রেতারা আসছেন, দামও বলছেন। হয়ত কোরবানির আগেই বিক্রি হয়ে যাবে। গরুর মালিক মুকুল মিয়া জানান, আমার বড় ভাই মোস্তফা মিয়া নিজেই পরম যত্নে লালনপালন করছেন শাহী কে।

তার সাথে আমিও গরুটির পরিচর্যা করেছি। গরুটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এবং অনেক ভালোবেসে এর নাম শাহী রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আরও বলেন, আশা করি আমার শাহী উপজেলায় কুরবানির জন্য কেউ নিয়ে যাবেন। শরীরের গঠন হিসেবে কাঙ্ক্ষিত দাম পাবেন বলে আশা করছেন।

আরও খবর

Sponsered content