বাংলাদেশ

করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

  প্রতিনিধি ১০ মে ২০২০ , ৩:২১:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনা হানা দেয়ার পর এটি একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ২২৮ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৮৮৭ জন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৬৫৭।

রোববার (১০ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি নতুন সংযুক্ত একটিসহ মোট ৩৬টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ৬৪২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় পাঁচ হাজার ৭৩৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ২২ হাজার ৬৫৭টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৮৮৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটি ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৫৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৪ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২২৮-এ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৩৬ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৬৫০ জন

বুলেটিনে বলা হয়, নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ১০ জন পুরুষ ও চারজন নারী। চার নারীর মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, এবং ষাটোর্ধ্ব দুজন রয়েছেন। পুরুষদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুজন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন এবং ৯০ থেকে ১০০ বছর বয়সী একজনও রয়েছেন।

গত শনিবার (৯ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ হাজার ৪৬৫টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬৩৬ জন। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যাতো বেড়েছেই। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ডও হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এছাড়া মৃত্যুতেও গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে ১৭ এপ্রিলের বুলেটিনে জানানো হয়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। যা এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় সর্বোচ্চ প্রাণহানির রেকর্ড।

বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসের কবলে। মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি। তবে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে চলছে ছুটি। বন্ধ বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। যদিও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোববার (১০ মে) থেকেই শর্তসাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by