ময়মনসিংহ

কেন্দুয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:১৮:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে খুঁজছে পুলিশ : কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে রোয়াইলবাড়ি ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে থামায় মামলা দায়ের হয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রীটির মা শিপন আক্তার বাদী হয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। সম্ভব বেশ কিছু এলাকায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ইতিমধ্যে হানা দিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা ও তদন্ত ওসি হাবিবুল্লাহ খান। মামলার এজহারে বাদী বলেন, তার মেয়েকে উপবৃত্তির ফরমে স্বাক্ষরের জন্যে গত ১৮ জুলাই মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান। মেয়ের সাথে তার ১৫ বছরের ছেলে মারুফ কে সাথে দেন। অধ্যক্ষকে মাদ্রাসায় না পেয়ে মুটোফোনে যোগাযোগ করে মাদ্রাসার পাশেই রোয়াইলবাড়ি তাতীঁপাড়া অধ্যক্ষের ভাড়াবাসায় যাওয়ার পর ১ কপি ছবি দেখে ৩ কপি ছবি লাগবে জানালে মারুফ ছবি আনতে স্থানীয় স্টুডিওতে পাঠায়। মারুফ চলে গেলে আসামী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান তার মেয়েকে অলিখিত নিকাহ্ নামায় স্বাক্ষর করার জন্যে বলা হলে সে অপারগতা প্রকাশ করায় আসামী তার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তার ডাক-চিৎকারে মারুফ ও রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এসে আসামীর কবল থেকে উদ্ধার করেন। পরে এই বিষয়টি নির্যাতিত ছাত্রীটি বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে জানালে মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সদস্যদেরকে বিচারপ্রার্থী হন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ করলে কেন্দুয়া থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে থানায় মামলা রুজু করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান বলেন, সে আমার বৈধ স্ত্রী। আমার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে তাকে ২০১৮ সালে ১৭ এপ্রিল রেজিস্ট্ররী কাবিন মূলে তাকে বিয়ে করেছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি করা হয়েছে তা সত্য নয়। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সদস্য আব্দুল হক জানান, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। কেন্দুয়া থানার তদন্ত ওসি হাবিবুল্লাহ খান জানান, আসামীকে ধরতে সম্ভব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি এবং অভিযান অব্যাহত আছে।

আরও খবর

Sponsered content