ময়মনসিংহ

কেন্দুয়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:০২:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

কেন্দুয়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বেখৈরহাটী এন.কে উচ্চ বিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষকে নিয়মবহির্ভূত ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিয়োগদানের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে এই লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা। জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বেখৈরহাটি এন,কে উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্প্রতি কয়েক ধাপে বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেন ম্যানেজিং কমিটি। এদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষকের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্তে¡ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিয়োগসহ অবৈধ ভাবে এমপিও ভূক্তকরণ করা হয়েছে। যাদের নামে অভিযোগ তারা হলো বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরোজা আক্তার। তিনি সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) সৃষ্ট পদে আবেদন করেন। কিন্তু ইংরেজি বিষয় না থাকা সত্তে¡ও নিয়োগ প্রাপ্তি হন এবং অবৈধ পন্থায় শূণ্য পদে এমপিও ভুক্ত হন। তার ইনডেক্স নং ১০৩২৭৬০। অথচ নিয়োগের সময় বিদ্যালয়ে এই পদটি সৃষ্টই ছিলনা। সহকারী শিক্ষক শাহ আলম। তিনি বাংলা বিষয়ে শিক্ষক নিবন্ধন করেন। তাকে অবৈধ ভাবে সমাজ বিজ্ঞান সৃষ্ট পদে নিয়োগ দেয়া হয়। যোগদানের পর শূণ্য পদে এমপিও ভূক্তকরণ করা হয়। তার ইনডেক্স নং ১১০২৭২৬। পরবর্তীতে তাকে কৃষি শিক্ষা বিষয়ে সমন্নয় করা হয় যা বিধিবর্হিভূ। বিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে সৃষ্ট পদ না থাকা সত্বেও আব্দুন নূর নামে সুনামগঞ্জের একটি স্কুলের এক শিক্ষকে নিয়োগ ও যোগদান দেখানো হয় কাগজপত্রে। প্রায় ৪ বছর পর হটাৎ আব্দুন নুর এসে জানায় সে বেখৈরহাটি এনকে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এ খবরে চমকে উঠেন সবাই এবং মানবজমিনসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ‘তিনি একাই দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষক’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হয়। এসব অবৈধ নিয়োগের কারিগড় ছিলেন সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দিন মোল্লা। তিনি অবৈধ পন্থায় বিধি বর্হিভূত ভাবে এমপিওতে আব্দুন নুরে পূর্বের স্কুলের ইনডেক্স নম্বরটি বেখৈরহাটি বিদ্যালয়ে স্থানান্ত করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ে আরো কয়েকজন শিক্ষকে বি.এড স্কেলসহ অন্যান্য উচ্চতর স্কেল অবৈধ ভাবে পাইয়ে দেয়া এবং সরকারী টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে। এসব শিক্ষকদের নিয়োগকালীন শিক্ষাগত যোগ্যতা ও এমপিও ভুক্তিকরণ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তারা। এবিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক শাহ আলম তার বাংলা বিষয়ে নিবন্ধন কথা স্বীকার করে বলেন, ওই নিবন্ধনে সমাজ বিজ্ঞানে নিয়োগ দেয়ার বিধান আছে বলে দাবী করেন তিনি। কৃষি বিষয়ে সম্বনয় বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যারা আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন তারাই এই বিষয়ে বলতে পারবেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, এসব শিক্ষকদের নিয়োগ আমার সময় হয়নি। পূর্বে সভাপতি ও বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি কারনে প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দিন মোল্লাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছে ম্যানেজিং কমিটি। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তারা একজোট হয়ে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাঁধাসহ আমার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মঈন উদ্দিন খন্দকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by