প্রতিনিধি ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ , ৪:৩৩:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ার এক মাসের মধ্যে কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটল।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে বাগেরহাটের রামপালে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দুটি ইউনিটের। এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষম এই কেন্দ্রের একটি ইউনিট গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়লা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলার অনুমোদন দিতে দেরি করছে। বিআইএফপিসিএল ঋণপত্র খুলতে না পারার বিষয়টি চিঠি দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) জানায়।
গত ১০ ও ১১ জানুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে গতকাল মজুদ কয়লা শেষ হয়ে যায় এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। কয়লা না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রটি চালু করার সুযোগ নেই।
এদিকে, কবে নাগাদ উৎপাদন স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। কয়লা না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রটি চালু করার সুযোগ নেই। তবে এ সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ কাজে বিপুল টাকা ব্যয় হবে।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি ও প্রশাসন) ওয়ালি উল্লাহ বলেন, কয়লা শেষ হওয়ায় শনিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়লা আসলে আবারও উৎপাদন শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ কয়লা আসবে, বা আসতে পারেন সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি এ কর্মকর্তা।
বিআইএফপিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কয়লা না থাকায় শনিবার সকাল থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়লা আমদানিতে ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার না দেওয়ায় কয়লা আমদানি করা যাচ্ছিল না। তবে আমরা দ্রুত এ সংকট নিরসনের চেষ্টা করছি।
বিপিডিবির কাছে বিআইএফপিসিএলের পাওনার বিষয়ে জানতে চাইলে মো. রুকন উদ্দিন বলেন, ‘ভর্তুকির টাকা না পাওয়ায় আমরা বিআইএফপিসিএলের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। শুধু এই প্রতিষ্ঠান না, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পাঁচ মাসের বকেয়া আটকে আছে। তবে আশা করছি, শিগগিরই এই সংকট কেটে যাবে।’