প্রতিনিধি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৬:৪৯:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দাখিলকৃত সম্পদের বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় নিজে বাদী হয়ে এ মামলা রুজু করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জ এর মামলা নং-০৪, তারিখ-১২/০২/২০২৫ খ্রি.।
মামলার বিবরণীতে জানাগেছে আসামি মাসুমা আলম দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২,৮২,৭৯,৬৬৯/- টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। উক্ত সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২,৩৪,৮৮,৪৯৯/- টাকা। পারিবারিক ব্যয় ৬৯,৪৩,৪৫১/- টাকা বাদে তার গ্রহণযোগ্য নীট আয় (২,৩৪,৮৮,৪৯৯ – ৬৯,৪৩,৪৫১) = ১,৬৫,৪৫,০৪৮/- টাকা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আসামি মাসুমা আলম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ (২,২৫,৮৩,৯১০ ∑ ১,৬৫,৪৫,০৪৮) = ৬০,৩৮,৮৩২/- টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখলে রেখেছেন। তার স্বামী এস, এম, বদরুল আলম তার অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত ৬০,৩৮,৮৩২/- (ষাট লক্ষ আটত্রিশ হাজার আটশত বত্রিশ) টাকার সম্পদ তার স্ত্রী আসামি মাসুমা আলম এর মালিকানা ও ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১০৯ ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আসামীরা হলেন (১) মাসুমা আলম (৫২), স্বামীঃ এস, এম, বদরুল আলম, পিতাঃ হাশেম মিয়া, মাতাঃ সুফিয়া বেগম, বর্তমান ঠিকানাঃ বাসা নম্বর-৩৬৮, রোড নম্বর-০২ (দ্বিতীয় ফেজ), সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, সোনাডাঙ্গা মডেল থানা (কেএমপি), খুলনা। স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম-ধানকোড়া, ইউনিয়ন রাতইল, ডাকঘর-পাথরঘাটা, থানা: কাশিয়ানী, জেলা: গোপালগঞ্জ এবং
(২) এস, এম, বদরুল আলম (৬২), সহকারী পুলিশ সুপার (অবসরপ্রাপ্ত), পিতা: মোঃ মিলু মিয়া, বর্তমান ঠিকানা: বাসা নম্বর-৩৬৮, রোড নম্বর-০২ (দ্বিতীয় ফেজ), সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, সোনাডাঙ্গা মডেল থানা (কেএমপি), খুলনা; স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম-ধানকোড়া, রাতইল, ডাকঘর-পাথরঘাটা, থানাঃ কাশিয়ানী, জেলাঃ গোপালগঞ্জ। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দন্ডবিধি ১৮৬০, এর ১০৯ ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা।
বিষয়টি দুদক গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।